ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিডনাইট হাসিনা সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবিতে আবারও রোববার ১২ই নভেম্বর থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ওইদিন সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বাত্মক এ কর্মসূচি পালন করবেন দলটির নেতাকর্মীরা।
এছাড়া পোশাক শিল্পের মজুরির দাবিতে আন্দোলনে দুই নিহত শ্রমিকসহ ২৮ অক্টোবর থেকে এই পর্যন্ত নিহত নেতাকর্মীদের জন্য আত্মার মাগফিরাত কামনায় শুক্রবার সারাদেশে বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অবরোধ কর্মসূচিতে গণমাধ্যমের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন-সিলিন্ডার বহনকারী গাড়ি আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম, গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএমসহ যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমমনা অন্যান্য দল ও জোটের পক্ষ থেকেও এ কর্মসূচি পালন করা হবে। যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও জামায়াতে ইসলামী একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এছাড়া অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে এবি পার্টি।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, সরকার আরেকটা ‘একতরফা’ নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। তবে জনগণ তা হতে দেবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা জাতির নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সীমা লঙ্ঘনকারী আওয়ামী লীগের বেপরোয়া দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে জনগণ পথে পথে, সড়কে-মহাসড়কে মানবপ্রাচীর গড়ে তুলে অবরোধ অব্যাহত রাখবে। কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তি ও পরিত্রাণ পেতে একদফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
রোববার থেকে ডাকা অবরোধের আগে গত দুই সপ্তাহে তিন দফায় ১৬০ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি করেছে বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেয়ার পর থেকে বিএনপিসহ সমমনা জোট গুলো ‘কঠোর’ কর্মসূচিতে যায়। ওই ঘটনার পর দিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। প্রথম দফা ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা এবং সর্বশেষ ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়। যা শুক্রবার ভোর ৬টায় শেষ হবে।