ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আপিল বিভাগে দলের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহালের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে জামায়াতকে বঞ্চিত ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। পাশাপাশি এই ন্যায়ভ্রষ্ট রায় প্রদানে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে দলটি।
সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বৈঠক এসব কথা বলা হয় বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
বৈঠকে প্রস্তাবে বলা হয়, জামায়াতের আইনজীবীরা দলের নিবন্ধন মামলার শুনানির জন্য পর্যাপ্ত সময়ের জন্য আদালতে আবেদন করেছিল। কিন্তু তা মঞ্জুর না করে আদালত ১৯ নভেম্বর হরতালের দিন মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা সাধারণত হরতালের দিন আদালতে যান না। যে কারণে জামায়াতের সিনিয়র আইনজীবীরা মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এ অবস্থায় তড়িঘড়ি করে জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলায় একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায় প্রদান করা হয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা অভিমত ব্যক্ত করছে যে, আপিল বিভাগে বিচারাধীন নিবন্ধন মামলাটি শুনানির সুযোগ না দিয়ে খারিজ করে দেয়ায় তা ন্যায় বিচারের মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নয়।
‘এ ন্যায়ভ্রষ্ট রায় আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। এ রায়ের মাধ্যমে জামায়াতকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে জামায়াতকে বঞ্চিত ও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরকার পতনের একদফা আন্দোলন আরো জোরদার করার জন্য জামায়াতের মজলিসে শূরা দলমত নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।’
বৈঠকে আরও বলা হয়, জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলো আবার কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ দাবি আদায় করার জন্য গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। জামায়াতকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার সরকারি কৌশল হিসেবেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলাটি শুনানির সুযোগ না দিয়ে খারিজ করে দেয়া হয়েছে।