ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অভূতপুর্বভাবে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ বিভাগ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নির্বাচনী প্রচারণা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক ও বিকল্প মুখপাত্র রফিকুল আলম।
রোববার মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সিলেট-১ এবং প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম রাজশাহী-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন করছেন। আচরণবিধি অনুযায়ী, মন্ত্রী-এমপিরা প্রার্থী হওয়ার পর সরকারি সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচাররণা চালাতে পারবেন না।
এমন প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচন কেন্দ্রিক আগাম প্রচারণার যেসব সংবাদ পাঠানো হচ্ছে, তা মন্ত্রণালয় স্বপ্রণোদিত হয়ে দিচ্ছে, নাকি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা রয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল আলম বলেন, তথ্য দেওয়ার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেটি সবার জন্য উন্মুক্ত, তা দিতে ইসির অনুমতি নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি-না, বিষয়টি নিশ্চিত না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচন কেন্দ্রিক আগাম প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন কি-না, জানতে চাইলে তিনি জানান, নির্বাচন কেন্দ্রিক আগাম প্রচারণার কিছু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে কি-না, বিষয়টি তার জানা নেই।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসির জনসংযোগের কাজ করছে কি-না, এই প্রশ্নের জবাবে বিকল্প মুখপাত্র বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে তথ্য শেয়ার করার পেছনে অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে, আমাদের একটা বড় অডিয়েন্স আছে তাদের দ্রুত রিচ আউট করা। এর বাইরে কিছু নয়।’