ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, ‘ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আঁতাত নেই, কোনো অ্যারেঞ্জমেন্টও নেই। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা সরাসরি জনগণের ভোটে সংসদে যেতে চান।’ গতকাল সোমবার সমকালের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
শমসের মবিন বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপির লক্ষ্য বহুদূর। তিনশ আসনে প্রার্থী দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সময়-স্বল্পতার কারণে দল গোছানো হয়নি। তাই সব আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে ১৪২টি আসনে আমাদের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
অনেকে মনে করেন, ৭ জানুয়ারির ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির আঁতাত বা বোঝাপড়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘কোনো আঁতাত নেই, কোনো অ্যারেঞ্জমেন্টও নেই। আমি আমার দল থেকে বঞ্চিত হইনি। আমার দল আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আসন ভাগাভাগি বা কোনো চুক্তি হয়নি। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে চান। আর যারা প্রার্থী হয়েছেন, তারা সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
নিজের আসন, অর্থাৎ সিলেট-৬ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানে লড়াই হবে চতুর্মুখী। কারণ এখানে তৃণমূল বিএনপি ছাড়াও আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তাই তুমুল লড়াই হবে বলে মনে করি।’
নির্বাচনে পরাজিত হলে ফল মেনে নেবেন কিনা জানতে চাইলে শমসের মবিন বলেন, ‘জনগণ যদি সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, আমি সেই রায় মেনে নেব।’ এখন পর্যন্ত তৃণমূল বিএনপির কোনো প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ তোলেননি জানিয়ে দলের চেয়ারপারসন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর বলে মনে হয়। ইসি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে ভোট সুষ্ঠু হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক বা প্রশ্ন থাকলেও আমাদের ধারণা, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে ৭ জানুয়ারির ভোট স্বচ্ছ হবে।’
শমসের মবিন বলেন, ‘সংবিধানে ভোট দেওয়ার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু ভোট প্রতিহত করা, ক্ষয়ক্ষতি করা, ধ্বংসাত্মক কাজ করা কোনো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।’
তৃণমূল বিএনপি মানুষের জন্য কাজ করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে বৈষম্য দূর চাই; সর্বস্তরে অসাধু সিন্ডিকেট প্রতিহত করতে চাই। নারীর মতায়ন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য।’
এর আগে দুপুরে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন সাবেক এই কূটনীতিক। পরে নগরীর আম্বরখানার একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন। এর পর তিনি হজরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন।