ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, সেটা এ দেশের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোই ঠিক করবে বলে মত দিয়েছেন ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অথবা অন্য কোনো দেশে নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে মূল্যায়নের অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে জহুর হোসেন চৌধুরী স্মারক বক্তৃতায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের রোল মডেল’ শীর্ষক বক্তৃতার আয়োজন করে ভোরের কাগজ। ভারতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার তারেক এ করিম এতে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে পঙ্কজ শরণ স্বাধীনতার পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশের ‘বন্ধুর পথে’ যাত্রার নানা প্রসঙ্গ টানেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আততায়ীর হাতে নির্মমভাবে প্রাণ দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
পঙ্কজ শরণ বলেন, ‘প্রতিটি দেশের জন্য নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য ভালো পন্থা কোনটা– সেটা বাংলাদেশের জনগণের ঠিক করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
পাশ্চাত্যের দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যেসব ব্যক্তি আমাদের গণতন্ত্র শিখিয়েছেন, তারা সর্বদা আফগানিস্তানে গণতন্ত্র বা আফগানিস্তানে অবাধ নির্বাচনের কথা বলবেন। ভারত বলবে, দেখুন, আমরা একটি গণতন্ত্র। আমরা আমাদের গণতন্ত্র রপ্তানি করছি না। আমরা এটা স্বীকার করি– প্রতিটি দেশের নিজস্ব পদ্ধতি আছে, প্রক্রিয়াও আছে।’
পঙ্কজ শরণ বলেন, ‘আমি শুধু এ টুকুই বলব, বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনাদের প্রতি আমাদের শুভ কামনা থাকবে। নির্বাচনটি সবচেয়ে ভালোভাবে করার উপায় আপনাদের রয়েছে। আপনাদের প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম আছে। আপনারা যথাসাধ্য করে যান, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং নির্বাচনে যে ফল আসবে, তা মেনে নিন।’
কোনো দেশের নির্বাচনে অন্য দেশের নাক গলানোর বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘একটা দেশে নির্বাচন কীভাবে হবে, তা সংশ্লিষ্ট দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। তা না হলে সার্বভৌম জাতি হওয়ার মানে কী হলো?’
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক এ হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা থাকবে– শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটুক। কোনোভাবেই তা যেন অস্থিতিশীলতার দিকে না যায়।’