ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন তার বাসভবনে জনপ্রতিনিধিদের জোর করে ডেকে এনে ভুরিভোজ করিয়েছেন। যাবার সময় দিয়েছেন ‘বকশিসও’, যেটাকে যাতায়াত খরচ বলছেন আগতরা।
এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ নয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। তারা জানান, নির্বাচনী আচরণবিধিতে খাবার, উপঢৌকন বা নগদ টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার বিষয়টি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে।
জানা গেছে, নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে তার বাসভবনে সংশ্লিষ্ট আসনের ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে নির্বাচনী বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। এরপর প্রত্যেকের হাতে দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- এমপি প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু, জেলা পরিষদের সদস্য আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী ও ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ জনপ্রতিনিধিরা।
লোকজনের জন্য খাবারের আয়োজন করা আলাউদ্দিন ডেকোরেটর স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন বলেন, দুই হাজার লোকের রান্না করা হয়েছে। এতে খাবারের তালিকায় ছিল মাছ, মাংস, ডাল ও সাদা ভাত।
নাম-প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার বলেছেন, দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয় করতে আমাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাবার সময় দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এটি আসা-যাওয়ার যাতায়াত খরচ। সেখানে দুপুর বেলার খাবারও খেয়েছি।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আক্তার শাহীন মোবাইল ফোনে বলেন, মধ্যাহ্নভোজ বা টাকা বকশিস দেওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে।