ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের সবাইকে একসঙ্গে রাজপথে নামতে হবে। ৭ তারিখের যে তামাশা সেটা বর্জন করতে হবে, বয়কট করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ শীর্ষক গণসংযোগ ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই মুহূর্তের আমাদের আহ্বান, একতরফা ভোট, তামাশার নির্বাচন বর্জন করুন, বয়কট করুন। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এই তামাশার নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনও দেশপ্রেমিক মানুষ ভোট দিতে পারে না। বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতি, এই দেশের নাগরিকদের প্রতি, এই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি যদি সামান্য অঙ্গীকার আমাদের থাকে, তাহলে আমরা কেউ এই ভোটকে সহযোগিতা করতে পারি না। এই অবৈধ সরকারকে সবদিক থেকে অসহযোগিতা করার জন্য আমরা দেশের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
দমন-পীড়ন করে লাভ হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দমন-পীড়ন জায়েজ করার জন্য তারা এখন ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছে। তারা একটির পর একটি নাশকতা করছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মেরেছে। এসব ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাচ্ছে। তারা আগেও এসব করেছে। এখন মানুষ এগুলো আর বিশ্বাস করে না। মানুষ আপনাদের চাল ধরে ফেলেছে। এই সব নাশকতা যে সরকারি মদদে বিভিন্ন সংস্থার লোকদের দিয়ে করানো হচ্ছে এটা পরিষ্কার।’
তিনি বলেন, ‘ট্রেনে আগুন লেগেছে বিমানবন্দরের ওপারে। তারপর ১২ কিলোমিটার চলে ট্রেন তেজগাঁও আসলো। মাঝে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পড়লো কিন্তু কেউ এই ট্রেন থামাতে পারলো না। মানুষ পুড়ে পুড়ে মরলো। এই হলো বাংলাদেশ! কারণ তাদের (আওয়ামী লীগ) আগুনে পোড়া মানুষ দরকার। সেটা ব্যবহার করে বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করতে হবে। আজ সরকার এই নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এই দেশকে রক্ষা করতে হলে দেশের সব জনগণকে রাজপথে নামতে হবে, জনগণকে বৃহত্তর ঐক্যে আসতে হবে।’
পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল আমরা গণসংযোগ করবো। গণমিছিল করবো আগামী পরশুদিন। সেখান থেকে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ যাবে না। জনগণ এটা প্রত্যাহার করেছে। আমরা ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজপথে থাকবো।’
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার বলেন, ‘আপনারা তিন তিনবার ভোটের নাটক করেছেন। আগামী নির্বাচন জনগণ বর্জন করবেই। ৭ জানুয়ারি একটা কলঙ্কিত দিন হতে চলেছে।’
এ সময় আরও ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ মঞ্চের অন্যান্য নেতারা। সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়া হয় মতিঝিল অভিমুখে।