DMCA.com Protection Status
title="৭

অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করা হবে : ডা: জাহিদ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষ এখন ভোটাধিকার ফেরত চায়। আর সে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।

অথচ বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগেই কে কয়টা সিট পাবে তা ভাগ করে দিচ্ছে। তাদের প্রতি জনগণের আর বিশ্বাস নেই। এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হলে অসহযোগ আন্দোলনের বিকল্প নেই। অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারকে বিদায় করা হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক পথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরির সঞ্চালনায় এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফুর রহমান, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের লুৎফুল কবির লাবু, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের রাশেদুল হক, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় ডা: জাহিদ আরো বলেন, দেশের মানুষের চাওয়া হচ্ছে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন। অথচ স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসেও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। হত্যা, গুম, গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে যে জুলুম নির্যাতন চালানো হচ্ছে, একদিন এই জুলুমের শেষ হবে। জুলুম করে ক্ষমতা প্রলম্বিত করা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, এই অসহযোগ কর্মসূচি এদেশের মানুষ দেখেছে। আমরা ৬৯/৭১ এর কথা ভুলে যাই নাই। মনে রাখতে হবে স্বৈরাচারকে বিদায় করতে হলে তার প্রতিটা কর্মক্ষেত্রে অসহযোগিতা করতে হবে। অবশ্যই ৭ জানুয়ারি মানুষ ভোট প্রত্যাখ্যান করবে।

তিনি বলেন, জুলুমকারী জয়যুক্ত হয়েছে এই ইতিহাস পৃথিবীতে নাই। জুলুম করে এই সরকার পার পাবে না। আপনারা দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন, জনগণের কথা বুঝতে শিখুন। জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। দেশটা সাধারণ জনগণের সম্পদ। এই সরকার এখনো স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতায় আছেন। এখনো সময় আছে জনগণের দাবির প্রতি নতি স্বীকার করুন। বোঝার চেষ্টা করুন সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। আপনারা মানুষকে কষ্টে নিপতিত করবেন না। আগামীতে অর্থনৈতিক ভয়ংকর পরিণতিতে ডুবে যাচ্ছে। অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করব।

এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে- এই স্বৈরাচারকে বিদায় করতে হলে তার সকল কর্মকাণ্ডে অসহযোগিতা করতে হবে। আজকে কেউ কেউ বলে আপনারা (সরকার) নাকি টেলিফোন লাইন, ইলেক্ট্রিক লাইন কেটে দেবেন। হায়রে বাংলাদেশ! আমরা শুনেছি বঙ্গভবনেও অক্সিজেন বন্ধ করে দেবার বক্তৃতা আপনারা দিয়েছিলেন। কাজেই আপনাদের মুখ থেকে এই সমস্ত বক্তব্য শোনা যায়।

তিনি বলেন, এই কর্মসূচি (অসহযোগ) দীর্ঘদিনের নয়, এই কর্মসূচি অল্প দিনের কর্মসূচি… দুই থেকে তিন সপ্তাহের কর্মসূচি। কাজেই কোনো অবস্থাতে ওই গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, ইলেক্ট্রিক লাইন কাটার ভয় দেখাবেন না। এটি কারো বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এটি জনগণের সম্পদ, জনগণ ব্যবহার করবে। জনগণ কোনো হত্যাকারী শাসকের কথায় সব সময় চলবে… এটি ভাবা ঠিক না।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তোপখানা রোডে পথচারীদের হাতে ‘ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক’ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!