ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগ সরকার যতই টালবাহানা করুক, কোনো লাভ হবে না জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তাদেরকে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতেই হবে।
আজ রোববার অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং অসহযোগ আন্দোলন সফলে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। ১২তম ধাপে দিনব্যাপী অবরোধ সফলে আজ রোববার সকালে কুমিল্লার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক চান্দিনা গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলটি হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবু, সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন ভূইয়াসহ বিভিন্ন স্তরের শতাধিক নেতাকর্মী।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল ছাড়াই একতরফা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের জনগণ রাজপথে আন্দোলন করছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, একতরফা ডামি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। তারা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করছে। আর এসবের দোষ চাপানো হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর ওপর। যা আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশের জনগণের কষ্টার্জিত টাকা লুটে বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লুটেরা সরকার। এখন সেই লুটের টাকা ডামি ভোটে ঢালছে তারা। আজকে দেশের অর্থনীতির কী করুণ পরিণতি। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলেছে- ২০০৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। ব্যাংক খাত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে বের করে নেওয়া এ অর্থ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১২ শতাংশের বেশি। ফলে এ অর্থে অনায়াসে বাজেট ঘাটতি মেটানো সম্ভব হতো।
রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতই টালবাহানা করুক কোনো লাভ হবে না। তাদেরকে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতেই হবে। আজকে শুধু বাংলাদেশের জনগণ নয় গণতান্ত্রিক বিশ্ব আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। জাতিসংঘ ও অস্ট্রেলিয়া এই পাতানো নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং বিএনপির চলমান অসহযোগ আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিয়ে বলছেন- ‘আওয়ামী লীগ আর না, ডামি নির্বাচনে ভোট দিবো না‘।
তিনি বলেন, 'দেশের জনগণ, ভোটার ও সচেতন নাগরিকদের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা নিজে ভোট বর্জন করুন এবং ভোট বর্জনে অন্যকে উৎসাহিত করুন।'