DMCA.com Protection Status
title="৭

‘ভোটকেন্দ্রে নাশকতার চিন্তা করলে বাড়ির খাট-বালিশ থাকবে না’: শামীম ওসমান

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আমি মনে করি নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। সারা দেশে আনন্দঘন পরিবেশে ভোট হবে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা কোনো প্রোগ্রাম করতে পারবে না।

এটার উত্তর নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ দেবে। আমি মানুষের নার্ভ বুঝতে পারছি। মানুষ এগুলো মেনে নেবে না। ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনা মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। মানুষ যদি ক্ষেপে যায় তাহলে বিএনপি’র জন্য ভয়াবহ হবে। ভুলেও যদি কেউ চিন্তা করে ভোটকেন্দ্রে ভোট দেয়া যাবে না। আমার এলাকায় ভুলেও কেউ এই চিন্তা করবেন না।

করলে বাড়ির খাট-বালিশ থাকবে না।
গতকাল সন্ধ্যায় ফতুল্লার তল্লা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এসব বলেন। শামীম ওসমান বলেন, বিএনপিকে একসময় আমিও দল ভাবতাম। এখন ওদের আর রাজনৈতিক দল মনে করি না। জামায়াত যেভাবে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। বিএনপিও এবার  তেমনিভাবে গণমানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ সালের ওরা আগুন সন্ত্রাস করেছে। আমরা ভেবেছিলাম ওরা ভালো হয়ে গেছে। ২৮ তারিখ ওরা প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করেছে আমরা সেটা মেনে নিয়েছি।

যখন দেখেছি একজন পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে; ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি হেলমেট খুলে চাপাতি দিয়ে কোপাচ্ছে; কয়দিন আগে যা ঘটলো তা মেনে নিতে পারছি না। এক মা ও তার সন্তান দুজন দুজনকে জড়িয়ে আগুনে পুড়ে মারা গেল। এরপর এদের সন্ত্রাসী সংগঠন বলা যেতে পারে। কানাডার আদালত তো বলেছেই।  আমার মনে হয় না এ সন্ত্রাসীদের ডাকে কেউ সাড়া দেবে। পৃথিবীর বড় শক্তিগুলো চাচ্ছে বাংলাদেশকে অন্য খাতে নিয়ে যেতে। ওরা তাদের হয়ে কাজ করছে। ভাবছে ওদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে তারা। এটা তো গত দু’বছর ধরে শুনছি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ছেলেদের জন্য আমার মায়া হয়। আমার এলাকায় অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। লন্ডন থেকে তারেক রহমান বলছে গাড়িতে আগুন দিতে ও ভিডিও পাঠাতে। এ ভিডিও আমার কাছেও আছে; প্রশাসনের হাতে যাচ্ছে। এ মামলায় যখন শাস্তি হবে তখন কিন্তু তার পরিবারই কাঁদবে, তারেক রহমান কাঁদবে না।

এর আগে বিকালে ফতুল্লার দক্ষিণ কায়েমপুরে নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমি মৃত্যুর সময় মানুষের দোয়া নিয়ে মরতে চাই। মানুষ আমাকে বলে আপনি অনেক কাজ করেছেন। আপনাকে এমনি ভোট দেবো। কিন্তু আমি চাই আরও করতে। পুরো কাশিপুর ঘুরে একটা দাবি পেয়েছি- দেড় হাজার ফুটের একটা ড্রেন। এটা আমাদের একজন চেয়ারম্যান বা মেম্বারই করতে পারে। আমি কাজ করেছি, মানুষ হ্যাপি।

নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে মেয়র আইভী নামবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জানি না মাঠে নেই বা নামেনি। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জন্য মাঠে নামা উচিত। হয়তো নামবে সামনে। হয়তো কোনো কাজে ব্যাস্ত, মানুষের অনেক প্রবলেমও তো থাকে। আমার জন্য আমার এলাকায় আমার যে কর্মী আছে তাদের পরিবার ভোট দিলেই সাড়ে তিন লাখ ভোট পাবো।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!