DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

নির্বাচনে বিরোধী দল কে হবে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নঃওবায়দুল কাদের

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ৭ জানুয়ারি একতরফা পাতানো নির্বাচন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে তা বুঝতে পেরেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল। তাই এই এক তরফা নির্বাচনের সংসদে বিরোধী দল কারা হবে সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের কাছে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে একই কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তারা বলেছেন, শুধু কি আওয়ামী লীগের লোকজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী? আমরা বলেছি সেটা ঠিক না। বাইরের লোকও স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। অনেকে বিএনপি থেকে এসেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ, তবে সব স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগের না।’ আমরা আমাদের জবাব দিয়েছি। তারা সেটা শুনেছেন। তারা বলার চেয়ে শুনতে আগ্রহী ছিলেন বেশি।


বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দলের মনোভাব কেমন ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শুনেছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই নির্বাচনটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে, বিষয়টি এসেছে। এখানে ২৭টির মতো দল অংশগ্রহণ করেছে, ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করছেন। এসব বিষয় তারা পজিটিভলি নিয়েছেন। কিন্তু তারা একটি বিষয় জানতে চেয়েছে, বিরোধীদল করা হবে?’

তিনি বলেন, ‘আসলে বলার চেয়ে তারা আমাদের কথা বেশি শুনতে আগ্রহী ছিলেন। মন্তব্যের ব্যাপারটা তারা ওইভাবে করতে চাননি। আমরা আমাদের বক্তব্য বলেছি। নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি, বিএনপি আসলো না কেন? এটা বহু আগের জানা কথা, খুব বেশি আলোচনা হয়নি, তারাও জানেন।’


বিরোধীদল কারা হবে, এই প্রসঙ্গে আপনারা কী বলেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল বলে দেবে বিরোধীদল কারা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কথা বলেছি যে, নির্বাচনের টার্ন আউট সন্তোষজনক হবে। এ নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ আছে। সারাদেশের ভোটারদের মধ্যে যে স্বতঃস্ফূর্ত বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে টার্ন আউট নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন করা একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, নির্বাচিত সরকারের কাছে নির্বাচনকালীন সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এটাই বাধ্যবাধকতা।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারা সহিংসতার বিষয়ে কথা বলছেন, বিএনপি সহিংসতা করছে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে তারা সহিংসতা করতে চাচ্ছে। তারা হাস্যকর কিছু বিষয় নিয়ে এসেছে, বাংলাদেশ খমেনি স্টাইলে একটা বিপ্লব হবে, যেটাকে ভর করে তাদের নেতা আসবেন বাংলাদেশে। এরকম দুঃস্বপ্ন দেখছে বিএনপি।’


বাংলাদেশের নির্বাচনের চেয়ে ইউক্রেন, গাজা, ইসরাইল, ফিলিস্তিনি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাথাব্যথা বেশি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের এখন মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে, মাথা ব্যাথাটা গাজা, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন- এসব প্রসঙ্গ বিশ্ব রাজনীতিতে প্রকট। তারা বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন ওসব নিয়ে।’

‘নির্বাচন কেমন হবে, কতটুকু সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য হবে? এ ব্যাপারে সরকারের যে প্রস্তুতি, আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে। স্বতন্ত্রের বিষয় আলোচনা হয়েছে। স্বতন্ত্ররা শুধুমাত্র দলেরই নাকি অন্য দলের রয়েছেন।’ এসব বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল, এটা কি সবাই মেনে নেবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতটা প্রস্তুত, নির্বাচন বিরোধীদের অবস্থান কী, তারা মেজর কোনো প্রবলেম করতে পারবেন কি না, সেসব নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!