ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আগামী রবিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগের কয়েক মাসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে যেগুলো বিরোধী দল এবং ক্ষমতাসীন দল- উভয় পক্ষের সমর্থকদের দ্বারা সহিংসতায় পরিণত হয়।
বিরোধী দলের অনেক নেতাকে আটক করা হয়েছে। সাংবাদিকরা উভয় পক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট এর চেষ্টা করার সময় হামলার সম্মুখীন হন।
শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) বিশ্বজুড়ে মিডিয়া ও সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সংগঠন 'ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড' এমন মন্তব্য করেছে।
ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড ৫৫টি দেশে ৩০০'রও বেশি অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাতে বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে স্বাধীন, নির্ভরযোগ্য সংবাদ এবং তথ্য পৌঁছানো নিশ্চিত হয়।
ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড বলছেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে একটানা বাংলাদেশে শাসন করে আসছে এবং আগামী নির্বাচনের পর তাদের টানা চতুর্থ মেয়াদ শুরু করাটা প্রায় নিশ্চিত। বিরোধী দলগুলো (যাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি) এবং তার মিত্রদের বক্তব্য: তাদের কোনো বিশ্বাস নেই যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। তারা নির্বাচন বয়কট করছে, যার ফলে নির্বাচনের সব প্রার্থীই আওয়ামী লীগ, তার মিত্র কিংবা স্বতন্ত্র।
বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট করার এবং জনগণকে নির্ভরযোগ্য তথ্য দেওয়ার জন্য নিজেদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেন, কিন্তু প্রেক্ষাপটটি বিপজ্জনক এবং কঠিন। মাঠ পর্যায় থেকে আমাদের পরিচিতদের একজন বলেন: “দুঃখজনক বাস্তবতা হল বিক্ষোভে সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং সাংবাদিক আহত হওয়া এখন একটি সাধারণ দৃশ্য। কিন্তু তাই বলে আমি থামতে পারি না। একজন সাংবাদিক হিসেবে, একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমার দায়িত্ব রয়েছে বলেই আমি মনে করি।"
"শারীরিক নিরাপত্তার ঝুঁকি"র কথা উল্লেখ করে ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড বলেছেঃ সাংবাদিকরা তাদের কাজ করার সময় সহিংস হামলার ঝুঁকিতে থাকেন। অক্টোবরে রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ কাভার করা কমপক্ষে ২৭ জন সাংবাদিক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পাশাপাশি পুলিশের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বড়দিনের আগের সপ্তাহগুলোতে, বিশেষ করে নভেম্বরে, রাজনৈতিক উত্তেজনা সহিংস বিক্ষোভে গিয়ে ঠেকে। আমরা বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এবং নির্বাসিত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ভয় দেখানো ও নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে শারীরিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে দেখেছি।