DMCA.com Protection Status
title="৭

মোহনগঞ্জের আদলেই বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন, আগের ঘটনার জট খুলেনি

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নির্মম! মর্মান্তিক! হৃদয়বিদারক! রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে পুড়ে চারজন মারা গেছেন। সময়, স্থান ও ট্রেন ভিন্ন হলেও ১৯শে ডিসেম্বর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের আদলে একই কৌশলে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগি পুড়ে গিয়েছিল। বেনাপোল এক্সপ্রেসেরও তিনটি বগি পুড়েছে। দুটি ঘটনায়ই চারজন করে মারা গেছেন। মর্মান্তিক এ ঘটনা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। বিশেষ করে স্ত্রী-সন্তানকে বাঁচাতে না পেরে ট্রেনের জানালায় ঝুলে যিনি মারা গেছেন তার প্রতীকী ছবি ফেসবুক জুড়ে ভাসছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি শেষ গন্তব্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের কিছুক্ষণ আগেই অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের বেশি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
   
তবে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও আরও অনেকে পুড়ে ছাই হয়েছেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। চারটি মরদেহের দাবি নিয়ে অনেকেই মর্গে ভিড় করছেন।  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে আসামিদের উল্লেখ করা হয়েছে। রেলওয়ে থানায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় বাদী হয়েছেন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) এস এম নুরুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে নাশকতা চালিয়ে যাত্রী হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), সিআইডি, পিবিআই, এন্টি টেররিজম ইউনিটসহ (এটিইউ) তদন্ত করছে। তবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে দাবি করছে নবী ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থ ও ইন্ধনদাতা। এই ৮ জন অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।  তবে বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘুরে-ফিরে এর আগের মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ঘটনার তদন্তের অগ্রগতির বিষয়টি সামনে আসছে। গত মাসের ১৯ তারিখে নেত্রকোনা সদর, ময়মনসিংহ, গফরগাঁও হয়ে ঢাকার কমলাপুরে পৌঁছানোর কিছু সময় আগে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনার পর নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। ট্রেনে থাকা শত শত যাত্রীদের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করতেও বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। এমনকি সংশ্লিষ্টরা কীভাবে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সেটিও খুঁজে বের করতে পারেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। এমনকি কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটিও  বের করা সম্ভব হয়নি।  

বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ বলছে, ট্রেনের ‘চ’ বগির ভেতর থেকে যাত্রীবেশে থাকা এক বা একাধিক যাত্রী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তবে কোন উপায়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সেটি নিশ্চিত করা হয়নি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। পর্যায়ক্রমে দেশের সব ট্রেনে সিসি ক্যামরা স্থাপন করা হবে। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে সারা দেশে চলাচলকারী সব ট্রেনের। এখন থেকে ৮-১০ জনের একটি টিম প্রতি ট্রেনে নিরাপত্তা দিবে। গতকাল সরজমিন দেখা যায়, আগুন লাগানোর পর রাজধানীর গোপীবাগে যে জায়গাটিতে ট্রেন থামানো হয়েছিল, সেখানে সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড়। নাশকতার শিকার ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হলেও সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পোড়া কাপড়, স্যান্ডেল, জুতা, ট্রেনের পোড়া সিটের কাপড়। আশপাশের ভবনের বাসিন্দা ও ওই সময়ে যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন- তারা দর্শনার্থীদের ঘটনার বর্ণনা করছেন। তেমনই একজন মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গেন্ডারিয়া থেকে আগুন লাগছে ট্রেনে। ৩-৪ জন লোক আগুন আগুন বলে চিৎকার করে দৌড়ে সেই গেন্ডারিয়া থেকে এখানে চলে আসে। আমরা যখন আগুন দেখতে পাই- তখন একজন লাল কাপড় দেখিয়ে ট্রেন দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। অনেকে চালককে উদ্দেশ্যে করে চিৎকার করতে থাকে। একপর্যায়ে ট্রেন থামে। ট্রেনের যাত্রীরা সবাই আগুন আগুন, বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। পরে এক এক করে সবাইকে ট্রেন থেকে নামানো হয়। অনেকে বের হতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিস তাদের লাশ উদ্ধার করে।

পাশের একটি ভবনের ৫ম তলার বাসিন্দা ডা. ইউনুস আলী বলেন, চিৎকার শুনে আমি জানালার কাছে আসি। তখন প্রথমে একটি বগিতে আগুন দেখতে পাই। ৫ মিনিটের মধ্যে আরেকটি বগিতেও দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটি ডিপোতে রাখা হয়েছে। ট্রেনটির সবার প্রথমে রয়েছে ইঞ্জিন। এরপরেই ‘চ’ ও ‘ছ’ নম্বর বগি পুরোটা পুড়ে গেছে। আগুন ইঞ্জিন ও আরেকটি বগিতে ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছিল- যা কালো ধোঁয়ার চিহ্ন দেখলেই স্পষ্ট হওয়া যায়। জানালার অ্যালুমিনিয়াম পাতগুলো গলে ট্রেনের বডিতে লেগে রয়েছে। একজন পুড়ে মারা যাওয়ার যে ভিডিও সবার আবেগকে নাড়া দিয়েছে- সেই জানালাতে ছোঁপ ছোঁপ রক্ত-মাংসের দাগ লেগে রয়েছে। পুড়ে যাওয়া বগি দুটিতে অবশিষ্ট নেই কিছুই। শুধুই পোড়া গন্ধ আর পুড়ে ছাই হওয়া জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছটিয়ে পড়ে রয়েছে। অপরদিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও সারা দেশে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতেও। কিন্তু ঢিলেতালে চলা এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোনোই কাজে আসেনি। ঠিকই যাত্রীবেশে ট্রেনে ওঠে অগ্নিসংযোগ করেছে নাশকতাকারীরা। তবে, গতকাল রেলওয়ে পুলিশকে কঠোরভাবে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। এরপরও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা।  গুরুত্বপূর্ণ সব ট্রেনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে: গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন পরিদর্শন শেষে রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেছেন, দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা গুরুত্বপূর্ণ সব ট্রেনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে তেজগাঁও রেলস্টেশনে নাশকতার শিকার মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সব ট্রেনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা অনেক খরচের ব্যাপার। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে আগে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য ট্রেনগুলোতেও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে বা অন্য কোনো ত্রুটির কারণে ঘটেনি। কোনো যাত্রী এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে। তিনি বলেন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতার ঘটনা সমন্বিতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ঘটনাও সব সংস্থা মিলে তদন্ত করা হবে। যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আগুন দেয়া হয় বগির ভেতর: রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, চলন্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বগির ভেতর থেকে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে, সেটি আমরা নিশ্চিত নই। তবে ‘চ’ বগির মাঝখানের বামপাশে প্রথম আগুন জ্বলে ওঠে। এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়ের করবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মামলার তদন্তে রহস্য উন্মোচন হবে। তিনি বলেন, ৭৫০ কিলোমিটার রেল পথের নিরাপত্তা দিচ্ছি আমরা। জেলা প্রশাসকসহ জেলা পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করছে। গভীর রাতেও রেললাইনে টহল দিচ্ছে পুলিশ। এ ছাড়া বেনাপোল এক্সপ্রেস ছেড়ে আসার পর ১৫টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি নিয়েছে। আমরা এসব স্টেশনের ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছি। ওই ট্রেনের অনেক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।  

এদিকে, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিবির দাবি তারা সরাসরি ট্রেনের অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপি’র ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনা করেন। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপি’র হাইপ্রোফাইল নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে প্রথমে আসেন মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। এরপর আসেন সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু, একজন দপ্তর সম্পাদক ও কাজী মনসুর। তারা ভিডিও কনফারেন্সে এসে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে সুবিধাজনক স্থানে অগ্নিসংযোগ করার কথা বলেন। আরেকটি স্থান কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ লাইনে আপ-ডাউনে সুবিধাজনক স্থানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যাতে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। দক্ষিণ যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের তত্ত্বাবধানে যুবদলের কয়েকটি টিম লালবাগের কয়েকজন দাগী সন্ত্রাসী দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগানো হয়। ভিডিও কনফারেন্সে বলা হয়, ট্রেনে কে আগুন লাগাবেন? কনফারেন্সে থাকা ১০-১২ জনের একজন বলেন তিনি আগুন লাগাতে পারবেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তার নামটি আমরা বলবো না। এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সে থাকা আরও তিনজন আগুন লাগাতে পারবে বলে জানায়। তারা ২০১৩-১৪ সালে বিভিন্ন এলাকায় বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। তারা মিলে যাত্রাবাড়ীর আশপাশের এলাকা থেকে ট্রেনটিতে অগ্নিসংযোগ করে। হারুন বলেন, যে মোবাইল থেকে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়েছিল সেই মোবাইলটি উদ্ধার করেছে ডিবি। মোবাইলটি কাজী মনসুরের। তিনি আমাদের কাছে গ্রেপ্তার আছেন।  

ওদিকে, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থ ও ইন্ধনদাতা হিসেবে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন  তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুল আলম। অন্যদিকে নবীর আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান। রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, নবীকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নবী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা ও ইন্ধনদাতা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!