DMCA.com Protection Status
title="৭

ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীসহ সারা দেশেই হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জুবুথুবু অবস্থা মানুষের। ওই সব এলাকায় ৫ থেকে ৬ দিন ধরে সূর্যের দেখাও মিলছে না। এতে তীব্র বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক, দিনমজুর, থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। একইসঙ্গে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদেরও কাহিল অবস্থা।

শনিবার ভোর ৬টায় পঞ্চপড়ের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি বলেন, আজ ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। গত বিকেলে সামান্য রোদ দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা।

বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।

এদিকে জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা। বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন জেলার চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড়। শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!