ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলাধীন পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. হারুনুর রশীদকে কুপিয়ে নির্মমভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, হারুনুর রশীদকে সোমবার প্রকাশ্যে কুপিয়ে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী পৈশাচিকতার আরেকটি বর্বর দৃষ্টান্ত। আওয়ামী লীগ যে মানবিকবোধশূন্য রাজনৈতিক দল তার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো হারুনুর রশীদকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, হত্যা ও গুমের সংস্কৃতি তৈরি করে আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে চাচ্ছে। বাংলাদেশে রক্তাক্ত জনপদ ছাড়া জনগণকে তারা আর কিছুই দিতে পারেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠানের পর জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে আওয়ামী লীগ প্রতিবাদী জনগণকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগরে রক্ত ঝরাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নানা এজেন্ডার মধ্যে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করা একটি অন্যতম এজেন্ডা। ভোটারশূন্য নির্বাচন করে তাদের ফ্যাসিবাদী চেহারা আরও হিংস্র রুপ ধারণ করেছে।
রিজভী বলেন, দেশে চরম মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য পণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং জনজীবনে হাহাকার আর নৈরাশ্য বজায় রাখতে অবৈধ সরকার বিরোধী দলের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ শুরু করেছে। এর সর্বশেষ শিকার হলেন আওয়ামী সন্ত্রাসী রুবেল কর্তৃক হারুনুর রশীদকে নির্মমভাবে হত্যা।
তবে এভাবে হত্যা ও নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে আওয়ামী লীগ আর টিকে থাকতে পারবে না, প্রতিটি নির্মমতা ও হত্যাকান্ডের জবাব জনগণ একদিন কড়ায় গন্ডায় আদায় করে নিবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অবিলম্বে হারুনুর রশীদকে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন।