ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৭তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে এবং দেখা করতে কারাগারে গেছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, মেয়ে শাফারুহ মির্জা এবং বোন। শুক্রবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের জন্মদিনে প্রতিবছর প্রথম শুভেচ্ছা জানাতেন তার মেয়ে শাফারুহ মির্জা সুমি। এবার কারাগারে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার মহাসচিবের জন্মদিন কাটবে কেরানীগঞ্জের কারাগারে। তার সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা থেকে এসেছেন বোন। তাকে নিয়ে সকালে মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করতে কেরানীগঞ্জে গেছেন ভাবি ও ছোট মেয়ে। কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানান তারা।
লেখাপড়া শেষ করে ঢাকা কলেজসহ কয়েকটি সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন ফখরুল। ১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে জিতে হন চেয়ারম্যান।
মির্জা ফখরুলের জাতীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দল ন্যাপে। সেখান থেকেই তার বিএনপিতে যোগদান।
১৯৯২ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি, পরে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে উঠে আসেন তিনি। এই পদটি সৃষ্টি করা হয়েছিল তারেক রহমানের জন্য। তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর ওই পদে মির্জা ফখরুলকে আনেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ২০১১ সালে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন মির্জা ফখরুল। ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে তিনি মহাসচিব হন।
বিএনপির শীর্ষ পর্য়ায়ের নেতৃত্বে আসার আগে তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রথম সহসভাপতি এবং পরে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘদিন। আর ১৯৭৯ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী এস এ বারীর একান্ত সচিব ছিলেন ফখরুল।
ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফখরুল। ২০০১-২০০৬ মেয়াদের বিএনপি সরকারে তাকে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পরে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে তিনি শপথ না নেয়ায় ওই আসনে উপ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপির জিএম সিরাজ সংসদে যান।