সরকার ৭ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে অভিশাপ ডেকে এনেছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, এই অভিশাপ থেকে বের হতে অনেক খড়কুটো পোড়াতে হবে এ দেশের মানুষকে। রোববার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের (বিপিআরসি) উদ্যোগে ‘অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নাগরিক সমাজের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, রিনিউ করতে গিয়ে কিছু তথ্য সরবরাহ করতে হয়। কিন্তু সরকার যে তথ্য দিয়েছে সব ভুয়া। মানুষের অধিকার কষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। জীবন দিয়ে করতে হয়। ৫২ বছর আগে বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। বিদেশি রাষ্ট্রদের বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সচ্ছিদার কোন অভাব নেই। আজকের নতুন যে রূপের ধারা, এই ধারার মাধ্যমে সরকারকে চলে যেতে হবে। দেশের মানুষ বুঝতে পেরেই ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ভোট দিতে যায়নি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যদি একটু সুযোগ পায়, এই ঢাকায় ১০, ২০ লাখ মানুষের উপস্থিতি দেখা যাবে, ইনশাআল্লাহ। সেদিন এই সরকারকে লাল কার্ড দেখাবে দেশের মানুষ।
সভায় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড দিলারা চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জাপার একাংশের মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব ও পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির উদ্যোগে ‘ডামি নির্বাচনে অবৈধ সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ যা করে বিএনপি তা করে না। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। এই গণতন্ত্র হরণ করেছে আওয়ামী লীগ। যদি গণতন্ত্র না থাকে, এ দেশের মানুষ কেন যুদ্ধ করেছিল, বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের কালো পতাকা মিছিল নিয়ে ঠাট্টা করেছে আওয়ামী লীগ। তারা বলেছে, ‘কালো পতাকা মিছিল তো শোকের’। কিন্তু আওয়ামী লীগ হয়তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছ। তারা এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এর চেয়ে আর বড় কোন শোক নেই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. মঈন খান আরও বলেন, আপনারা আপনাদের মনোবল অটুট রাখুন। আওয়ামী লীগ এই গণতান্ত্রিক মানুষদের কোন কিছুতেই কাবু করতে পারবে না। দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরে দিতেই হবে, দিতেই হবে।
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মো. বাবুল সরদার চাখারী, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদের আরেক অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান প্রমুখ।