ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সংবাদমাধ্যেমগুলোতে আজকে তিনটা সংবাদ বেশ আলোচিত হচ্ছে। জাহাংগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের গুন্ডারা বেড়াতে আসা এক দম্পতির স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেছে। এরপর ছাত্রলীগের নেতাদের সহায়তায় ক্যাম্পাস থেকে পালিয়েছে। পুলিশের কাছে গেলেও ভুক্তভোগীরা তেমন একটা সাহায্য পাননি।
আরেক খবরে দেখা যায়, বডিবিল্ডার ফারুককে পুলিশি হেফাজতে হত্যা করা হয় এবং হত্যার আগে ফারুকের পরিবারের কাছে পুলিশ টাকা চায়। টাকা দিতে অপারগ হলে ফারুকের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া হয়। উল্লেখ্য, ১২ জানুয়ারী রাতে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোড থেকে আড়াইশ’ গ্রাম গাঁজা দিয়ে ফাঁসিয়ে ফারুককে আটক করে পুলিশ। পরে কায়েতটুলী ফাঁড়ি ও বংশাল থানায় নির্যাতনে মৃত্যু হয় তার। সংবাদমাধ্যেমে ফারুকের হত্যাকান্ড, পরিবারকে লান্থনার ব্যাপারগুলো সামনে আসে, কারন আওয়ামী পুলিশ কেবল হত্যা আর লান্থনাতেই থেমে থাকেনি, ফারুকের পরিবার মামলা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে।
তৃতীয় সংবাদটি, কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর চরে এক ব্যাক্তির নয় টুকরা লাশ উদ্ধার। মোট চার জায়গা থেকে সেই নয়টি খন্ড উদ্ধার হয়েছে। বলাই বাহুল্য, এই হত্যাকান্ডের মূল হোতা একজন আওয়ামী নেতা। এহেন নৃশংস হত্যাকান্ডের পর সেই নেতাকে কুস্টিয়া শহরের প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। গণমাধ্যেমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, এই গর্বিত আওয়ামী সন্তানকে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে।
যে কোন সুস্থ মানুষ এই তিনটা খবর পড়লে শিউরে উঠার কথা। একইদিনে পাশাপাশি তিনটা খবর দেখলে মানসিক সুস্থতা ধরে রাখা কঠিন। কিন্তু, সময়টা আওয়ামী জাহেলিয়াতের। এই দেশে এখন এইসব ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ক্ষমতার দম্ভে, জবাবদিহিতার দায় না থাকায় আওয়ামী পান্ডারা ইউনিফর্ম পড়ে বা না পড়ে দেশের মানুষকে ধর্ষণ করছে, খুন করছে অবলীলায়।
এই জাহেলী অবশ্য নতুন না। জাহাংগীরনগরে সেঞ্চুরীয়ান মানিক, ছাত্রলীগের কুখ্যাত ধর্ষণকারীর কথা লোকে ভুলে যায়নি। আওয়ামী ক্ষমতা রেপিস্টদের আগলে রাখে এইটাও লোকে জানে। মানিকের সাজা তো হয়ইনাই, উলটো গাফফার চৌধুরীর মতো আওয়ামী প্রপাগান্ডিষ্টরা এই ধর্ষণকারীর পক্ষে নিজেদের নোংরা কলম ধরতো। এবারও তাই হবে, এটাই আওয়ামী লীগ।
ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় আওয়ামী কয়েকজন নেতাকে জাহাংগীরনগরের সাধারন ছাত্রছাত্রীরা ধরে ফেলে। এক পর্যায় তিনজনকে সামনে দাঁড়িয়ে জুতা নিক্ষেপের একটা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। সেই তিনজনের পিছনে দেখা যায় শেখ মুজিবর রহমানের একটা স্থিরচিত্র।
ভিডিওটা দারুন এক প্রতীকি অবস্থা তুলে ধরে। মুজিবকে পিছনে রেখে, চেতনার নাম ভাঙ্গিয়ে আওয়ামী পান্ডারা দেশটাকে নরক বানিয়ে ফেলেছে। মুজিবের ছবিটা যেন সেইসব অপরাধের ভার বইছে অক্লেশে।