DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

সংসদে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি নিখিলের

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিএনপিকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তিনি বলেন, ‌একাধিকবার বলেছি, জঙ্গি সংগঠন যতদিন রাজনীতিতে বিচরণ করবে, ততদিনই বাংলাদেশের ভোগান্তি হবে। এ সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করা হোক, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।

রোববার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার থেকে যাত্রা শুরু করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। সেদিন সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ তার বক্তব্যের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আনেন সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। অধিবেশনজুড়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার পরে এই প্রস্তাব পাস হবে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও বাংলাদেশ ধ্বংসকারী দাবি করেন নিখিল। একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপিকে কানাডার আদালতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অ্যাখায়িত করেছে বলে দাবি করেন তিনি। নিখিল বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন, কেমন করে বাংলাদেশে রাজনীতি করে?


সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল কঠিনতম, চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন। বিএনপি-জামায়াত এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছিল। সাংবিধানিক শূন্যতা ছিল তাদের লক্ষ্য।

তারেক রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্টু হবে। এর মধ্য দিয়ে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তিনি তাদের স্বাগত জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী তার কথা রেখেছেন।

তিনি বলেন, উন্নয়নকে প্রধানমন্ত্রী শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। উন্নয়নকে কবিতার সঙ্গে তুলনা করা হলে তার কবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ৭ জানুয়ারি আমার নির্বাচনী এলাকায় অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন পরিশ্রম করে নির্বাচনের মাঠ যথাসম্ভব নিরপেক্ষ রেখেছিলেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতি এখন জাতীয় সমস্যা। এককভাবে কেউ এজন্য দায়ী নন। সম্মিলিতভাবে চেষ্টা না করলে এ সমস্যা সমাধান হবে না। দোষারোপ করে সমস্যা সমাধান হবে না। তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার প্রস্তাব করেন।

এর আগে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপন রহিত করার দাবি জানান।

তিনি বলেন, পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ডলার সংকটের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রজ্ঞাপন ক্ষতিকারক হবে। তিনি এই প্রজ্ঞাপনের উদ্দেশের সঙ্গে একমত। কিন্তু আগে বলা হয়েছিল, জুন পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে। এর ওপর ভিত্তি করে অনেকে চুক্তি করেছেন। এখন এটি বন্ধ করা হলে পোশাক শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে। তিনি এটি রহিত করা অথবা জুন পর্যন্ত এটি স্থগিত রাখার দাবি জানান।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!