ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সাগর-রুনি হত্যার ঘটনার দিন আমি সংসদে ছিলাম। সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাগর-রুনির বিচার করবেন, তদন্ত করবেন, চার্জশিট দেবেন। লজ্জা হয় না, শরম লাগে না। আইনমন্ত্রী আপনি বলেছেন, ৫০ বছর লাগবে। যদি শরম থাকত, জনগণের ভোটে নির্বাচিত মন্ত্রী হতেন, এই কথা কোনোদিনও বলতে পারতেন না। আপনার লজ্জা হওয়া উচিত ছিল, আপনার বক্তব্যের পরের দিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ করে সেদিন আপনার পদত্যাগ করা উচিত ছিল। আপনি পদত্যাগ করেন নাই।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদকে ‘তেলেসমাতি’ সংসদ আখ্যা দিয়েছেন জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এ সংসদে সরকারি ও বিরোধী দল আসলে ক্ষমতাসীনদের ‘এ ও বি’ টিম। সংসদ চলছে, আজও চলবে। এটা একটা তেলেসমাতি সংসদ। মুরুব্বিরা বলেন, এটা আওয়ামী লীগের ‘এ’ টিম আর ‘বি’ টিম। এই সংসদে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই, এই সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই। তবুও এই সরকার ক্ষমতার জোরে নির্বাচন কমিশনের কারচুপিতে ক্ষমতায় বসে গত মাসের ১০ তারিখে শপথ নিয়ে সরকার গঠন করেছে।
কারাগারে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ফারুক বলেন, যে দেশে মানবাধিকার নাই, সেই দেশের সরকারের কারা কর্তৃপক্ষের কথা আমরা বিশ্বাস করতে পারি নাই। আমরা বিএনপি মনে করি, বাংলাদেশের কারাগারে যে ১৫ জন নেতা-কর্মীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছেন তার হিসাব-নিকাশ একদিন আপনাদের দিতে হবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারকে দায়ী করে ফারুক বলেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর কথা শুনছেন না? আবার তারা সচেতন হচ্ছে, তড়িৎগতিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা কীভাবে রোজগার করা যায়।
জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ‘একতরফা’ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এসএম আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক গাফফার হোসেন ডিপটির সঞ্চালনায় বিএনপির আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তাইফুল ইসলাম টিপু, এজমল হোসেন পাইলট, কৃষক দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনিরসহ আরও অনেকে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
