ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীর ধানমন্ডি থানার একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তারের চার মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি কারামুক্ত হন বলে কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতা এ্যানিকে একাধিক মামলা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। সব মামলায় জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করে দুপুর ২টার দিকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
কারামুক্তির পর জেল গেইটে এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, “মিথ্যা মামলায় হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার রয়েছে। অনেকে সাজাভোগ করছেন। নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যায়নি। দেশে একটি নির্বাচনি কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
“আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে সকল নেতাকর্মী ও রাজবন্দীদের মুক্ত করে আমরা এদেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করব। সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার মধ্যদিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।”
২০২৩ সালের ২৩ মে রাজধানীর সিটি কলেজের সামনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। পরে পুলিশের করা ওই মামলা ১০ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরদিন ১১ অক্টোবর বিএনপি নেতা এ্যানির বিরুদ্ধে দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল বলে ধানমন্ডি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়।
এদিকে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামিনে মুক্তি পান। সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস কারাগারে ছিলেন তারা।