ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন খতিয়ান ধ্বংস ও বিলুপ্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সাইফুল মজিদ অভিযোগ করেন, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন খতিয়ান হারিয়ে গেছে। ড. ইউনূস যাওয়ার আগে এসব ধ্বংস ও বিলুপ্ত করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৫১ থেকে ৫২টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকার এবং ঋণদাতা জনগণ। এখানে ড. ইউনূসের কোনো ধরনের মালিকানা বা শেয়ার নেই।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূস অভিযোগ করেন, রাজধানীর গ্রামীণ টেলিকম ভবনে তার গড়া মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠান আছে, যার প্রতিটির চেয়ারম্যান ড. ইউনূস। এর মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক জবরদখল করেছে।
ড. ইউনূসের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে গ্রামীণ ব্যাংক চেয়ারম্যান আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভার অনুমোদন ও অর্থায়নে গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী ও গ্রামীণ শক্তি নামক প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়েছে। আইন অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের হাতে এ আইন তৈরি হয়েছে, তারা এ আইনি প্রক্রিয়াকে জবরদখল বলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছেন।
সাইফুল মজিদ বলেন, আমরা কোনো প্রতিষ্ঠান জবরদখল করিনি। গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক টাকা লোপাট হয়েছে। অনেক টাকা বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে। ড. ইউনূস মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ হাতে রয়েছে।