ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চিত্র নায়িকা মাহির সঙ্গে আঃলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠতা মিডিয়ার সবাই জানে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই ভরসায়ই আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পত্র কিনেও মনোনয়ন পায়নি মাহিয়া মাহি। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। মাহিয়া মাহির তৃতীয় স্বামী রাকিব মাহিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে হট লিংক রয়েছে এই ভেবেই রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতেই বিয়ে করেছিলেন তিনি।
নির্বাচনে হারের পর স্বামী রাকিবের বিপুল টাকা মাহিয়া মাহির পিছনে খরচ করে আশানরুপ রাজনৈতিক ফয়দা না দেখে এবং ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠতায় সংসারে অশান্তি শুরু হয়।
রাকিব কারণে দ্বিতীয় সংসারও ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তার স্বামী রাকিব সরকারও এ বিষয়ে একমত।
শুক্রবার রাতে ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় নিজের সংসার ভাঙনের খবর নিশ্চিত করেন এ নায়িকা।
ভিডিওতে মাহিয়া মাহি বলেন, আমি ও রাকিব খুব ভালো বোঝাপোড়া থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হয়েছে আমাদের একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। তাই আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে আমরা আলাদা থাকছি।
মাহি আরো বলেন, খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কিভাবে হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করবো।
এ নায়িকা বলেন, আমি জানি এই ভিডিওটা দেখার পরে আপনারা সবাই আমাকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলবেন। বিশ্বাস করেন, এসব মন্তব্য একেকটা তীরের মতো আমার বুকে বিঁধবে। কষ্ট হয়, তবে এসবে আমি কিছু বলি না। আমার পরিবারের মানুষও কষ্ট পায়।
এ সময় ছেলের জন্য দোয়া চেয়ে মাহি বলেন, আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। ওকে নিয়েও অনেকে বাজে মন্তব্য করেন। সে তো বাচ্চা, বুঝে না। কিন্তু আমি কষ্ট পাই। কোনো বাচ্চাকে নিয়েই আপনারা এমন মন্তব্য করবেন না। বুকটা ফেটে যায় একজন মা হিসেবে কষ্টে। আপনারা আমার ও ফারিশের জন্য দোয়া করবেন।
২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাকিবকে বিয়ে করেন মাহি। বিয়ের প্রায় আড়াই বছরের মাথায় আলাদা হয়ে গেলেন এই দম্পতি। এর আগে, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মাহি। সেই সংসার টিকেছিল ৫ বছর। অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন এ অভিনেত্রী।