ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ‘অধিকার আদায় এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক অগ্নিঝরা দিন একুশে ফেব্রুয়ারি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে ছাত্ররা আত্মত্যাগের যে মহিমান্বিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। তাদের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছি স্বাধীনতা যুদ্ধে। অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবোধ ও অধিকারবোধের চেতনা পরিপূর্ণতা পায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে। সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে। গণতন্ত্রকে সমাহিত করে অপশাসনের বেড়াজালে গোটা জাতিকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো দখলকৃত ক্ষমতা সম্প্রসারণের প্রচেষ্টায় বেপরোয়া ও অত্যাচারী হয়ে উঠেছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ফরমায়েশি সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের সংগ্রামী মানুষ মৃতপ্রায় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরও বেশি জোরালো ও তীব্রতর করবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভাষা শহীদদের মহিমান্বিত অবদানের কারণে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে। এটি বিশ্বজুড়ে ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং বহুভাষিকতা প্রচারের একটি দিন। জাতি হিসেবে মাতৃভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের এক গর্বিত দিন একুশে ফেব্রুয়ারি।
তিনি বলেন, আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে চর্চার মাধ্যমে অধিকতর সমৃদ্ধশালী করে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যাতে জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় আমাদের সম্মান ও মর্যাদা আরও বেশি উচ্চস্থান লাভ করে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ’৫২-র ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।