ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ লুটপাট ও চুরির টাকা উসুল করার জন্যই ভূতাপেক্ষে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান।
শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব অনেক প্রতিষ্ঠানই লোকসানের বৃত্তে থাকলেও বারবার চোট পড়ছে বিদ্যুৎ ও গ্যাস তথা জ্বালানি খাতের ওপর। সে অজুহাতেই গত ১৪ বছরে ১২ দফায় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে অন্তত ১২১ শতাংশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনদুর্ভোগের জন্য তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা পরিকল্পিতভাবে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। পবিত্র মাহে রমজানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রব্যমূল্য কমানো হলেও রমজান আসার আগেই আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। মূলত এই ফ্যাসীবাদী ও জুলুমবাজ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততই জনদুর্ভোগ বাড়বে। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ দফায় গড়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৭৫ শতাংশ। পরিবহন খাতের সিএনজির দাম বেড়েছে ছয় দফা। এ ছাড়া ডিজেলের দাম বেড়ে প্রায় ২৩৭ শতাংশ আর অকটেন ও পেট্রোলের দাম প্রায় ১৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় অন্যান্য খাতগুলোও লোকসানি হলেও সেদিকে মোটেই লক্ষ্য করা হচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকার জ্বালানি খাত থেকেই সব লোকসানের ঝাল মেটাতে চাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় তাদের জনরোষে পড়তে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১০ নং গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, ইয়াছিন আরাফাত, জামাল উদ্দীন, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দীন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য সালাহ উদ্দীনসহ প্রমুখ।