ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে এখন শেখ পরিবারের জমিদারি চলছে, শেখ পরিবারের রাজতন্ত্রে পরিণত হযেছে দেশ। গতকাল আপনারা দেখছেন সুগ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন। অহংকারের মাত্রা ক্ষমতার দম্ভ কতটা তীব্র হতে পারে সেখানে তা দেখা গেছে। সেখানে যুবলীগ যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা দেশবাসী দেখেছেন কিন্তু গ্রেপ্তার করা হযেছে রুহুল কুদ্দুস কাজলকে। কিন্তু যুথিকে কেন আটক করা হলো না। মারামারি করলো তারা নিজেরা নিজেরা। আটক করা হয়েছে বিএনপির লোক।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মতো জায়গায় সেখানেও তারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিল, ফলাফল কেড়ে নিল। ফলাফল জালিয়াতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। যদি সুষ্ঠুভাবে ভোট গণনা হতো বিএনপির ফুল প্যানেল বিজয়ী হতো।
রবিবার নয়াপল্টনে জিয়া সাইবার ফোর্স আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যুবলীগের সভাপতি কে শেখ পরশ, সে শেখ হাসিনার ভাতিজা, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র কে শেখ তাপস, সে শেখ হাসিনার ভাতিজা। গণমাধমে দেখেছিলাম শেখ পরিবারের ৫৭ না ৫৮ জন সদস্য বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার মনোনীত জনপ্রনিধি। খুলনা, বাগেরহাট যাবেন সেখানে শেখ হাসিনার আরেক ভাতিজার রাজত্ব। মাদারীপুর-ফরিদপুর যাবেন সেখানে দেখবেন তার আরেক ভাতিজাকে জমিদারি দিয়েছে। এভাবে সারা বাংলাদেশে তাদের রাজত্ব চলছে। শেখ হাসিনার রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে-তো তাদের বিরুদ্ধ আচরণ করার সাহস কারও নেই। তবু প্রতিবাদ করলেই তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল বা সাইবার আইনে মামলা করা হয়।
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, রাষ্ট্র শক্তিকে শেখ হাসিনার পেশিশক্তিতে পরিণত করে ডামি সরকার মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণ যে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বানাবে রাষ্ট্রপতি বানাবে সে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকে পাঁচ কোটি শিক্ষিত যুবক বেকার সেদিকে খেয়াল নেই। তাদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কোন উদ্যোগ নেই। তারা থোরাই কেয়ার করছে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।