ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে অবস্থানরত ৪ সোমালীয় জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে জাহাজে টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের সবার হাতেই ভারী অস্ত্র রয়েছে। তাদেরকে জাহাজের উপরের অংশে দেখা গেছে।
এক্সের ওই পোস্টে জানানো হয়, সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ’র হাইজ্যাক হওয়ার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবারই ভারতীয় নৌবাহিনী দূরপাল্লার মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ মোতায়েন করে। পরে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। যুদ্ধ জাহাজটি বৃহস্পতিবার জিম্মি জাহাজটিকে নজরদারি করতে শুরু করে। ওই দিন সকালে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি সফলভাবে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটকে দেয়।
পরে, হাইজ্যাক করা ক্রু সদস্যদের (বাংলাদেশি নাগরিক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধজাহাজটি সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে।
এদিকে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দস্যুদের নতুন একটি দল। গতকাল বিকেলে আবার জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করে তারা। বৃহস্পতিবার সোমালিয়ার উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছিল জাহাজটি। এরপর জলদস্যুদের আগের দল জাহাজ থেকে নেমে যায়। আরও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৫-২০ জনের নতুন দল দায়িত্ব বুঝে নেয়। নোঙর তুলে তারাই জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করে। এদের সঙ্গে দোভাষী হিসেবে আছে ইংরেজি জানা একজন।
গতকাল পর্যন্ত জলদস্যুরা মুক্তিপণ হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দাবি করেনি। এ ব্যাপারে জাহাজের মালিকপক্ষের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি তারা। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগির প্রতিনিধির মাধ্যমে মুক্তিপণের প্রস্তাব পাঠাবে।