ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যারা ক্ষমতায় আছে তারা কেমন আছে, তা কেউ জানে না। কিন্তু তারা জানে, তারা ভালো নেই। আর ভালো নেই বলেই মাঝে মাঝে আবোল-তাবোল কথা বলে।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিএনপির সাবেক মহাসচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই দোয়া ও স্মরণসভার আয়োজন করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ইফতারে মানুষ বরই খাবে না খেজুর খাবে—সেই কথা ঠিক করে দেওয়ার অর্থ একটা অর্বাচীন সরকারের অধীনে দেশের মানুষ বাস করছে। একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের এর চেয়ে পীড়াদায়ক, যন্ত্রণাদায়ক ও অপমানজনক আর কিছু হয় না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কেমন আছি সেটা সবাই জানে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা কেমন আছে, তা কেউ জানে না। কিন্তু তারা জানে যে তারা ভালো নেই। আর ভালো নেই বলেই মাঝে মাঝে আবোল-তাবোল কথা বলে। তাতে আমাদের কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। বরং এটাকে যদি অনুধাবন করতে পারি, তাহলে আমাদের মধ্যে ঐক্য বাড়বে, পথচলাটা সঠিক হবে।’
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্মৃতিচারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জীবন খুব ছোট না। কিন্তু খুব অল্প সময়ে তিনি সবার ওপরে উঠতে পেরেছিলেন। বাকি সময় তিনি নানাবিধ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চাপা পড়েছিলেন। তিনি তার অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক জ্ঞান প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তার অনেক ধৈর্য ও সাহস ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা অনেকে অনেক কথা বলতে চান। কিন্তু সবসময় সব কথা না বলা ভালো। সত্য কথা বলারও সময় আছে। সত্য কথা বলতে গেলে কখনও কখনও বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই মুহূর্তে সব সত্য কথা বলার সময় আসেনি, সেই পরিবেশও তৈরি হয়নি। কারণ, আমরা একটা লড়াইয়ের ময়দানে আছি। আমাদের এখানে ভালো ও মন্দ খোঁজার থেকে লড়াইয়ের মাঠে সমাগমটা বড় করাই বড় কথা। যদিও ঐক্যবদ্ধ, প্রতিশ্রুতিশীল গুটিকয়েক লোক এক হলে যা জয়লাভ করা যায়—তা কমিটমেন্ট নেই এমন হাজার মানুষ দিয়েও কোনও যুদ্ধ বা সংগ্রামে লড়াই করে জয়ী হওয়া যায় না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন অনেক জয় করেছেন। দলের অভ্যন্তরের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখিয়ে গেছেন তিনি ছোট নন। তিনি অনেক বড়, অনেক গুণী, অনেক জ্ঞানী, অনেক সাহসী।’
সাংবাদিক কবি আব্দুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।