ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ অন্যদের অব্যাহতির সুপারিশের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মো. শওকত হোসেম এই রায় দিয়েছেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ডিএনএ টেস্টে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মুনিয়ার দরজা ভেতর থেকে লক করা ছিল এবং বাড়িটি আনভীর সোবহান ভাড়া নেননি। মেডিকেল রিপোর্ট, আত্মহত্যার প্রতিবেদন- এসব সার্বিক বিষয় আমলে নিয়ে আদালত বাদীর নারাজী খারিজ করে দেন৷
বুধবার সকালে উন্মুক্তভাবে আদালতের রায় দেওয়ার কথা ছিল। সকালে এজলাসে এসে বিচারক মো. শওকত হোসেন সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, এই মামলার আদেশ বিকেলে হবে।
এরপর বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, যেখানে রুলস অ্যান্ড প্রেসিডেন্স রয়েছে ওপেন কোর্টে আদেশ দিতে হবে। হাইকোর্টেরও নির্দেশনা আছে। সেখানে বুঝতে অসুবিধা হয় মহামান্য আদালত কেন বলেন, আদেশ পরে দেবেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে নারাজি আবেদন দাখিল করেছিলেন বাদী। এক বছরেরও বেশি সময় পর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হলো।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল গুলশানে নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তার বোন নুসরাত কুমিল্লা থেকে এসে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন।
ওই বছরের ১৯ জুলাই সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে তিনি আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।
এরপর ওই বছরের ১৮ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী থানা-পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।