DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

দেশের মানুষ ভালো নেই, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও বিপন্ন: তারেক রহমান

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। সরকারের ব্যর্থতায় দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন। এর আগে ২০০ বছর পরাধীন ছিলাম। এখন পরাধীন হলে কত বছর পরাধীন থাকতে হবে তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে।’

বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের বিভিন্ন সেক্টরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের যতগুলো র‌্যাংকিং রয়েছে তা এশিয়ার মধ্যে নিচের দিকে। স্বাস্থ্যখাতের আজ বেহাল দশা। প্রতি হাজার মানুষের জন্য একজন ডাক্তার। নার্সের সংখ্যা আরও কম। এক হাজার মানুষের জন্য একটি বেড। এক লাখ মানুষের জন্য একটি আইসিইউ। চিকিৎসা খাতের এই অবস্থা। রোগী কমে যাচ্ছে। সুস্থ হয়ে যাচ্ছে সে কারণে রোগী কমছে না। মানুষ চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পারছে না। তাই রোগী কমে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘একই অবস্থা অর্থনীতির। গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। ব্যাংকখাতের অবস্থা করুন। এক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে। কোনো ব্যাংক রেড জোনে, কোনো ব্যাংক ইয়োলো জোনে, কোনো ব্যাংক গ্রিন জোনে। অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয়ে কথা বলছে। তাদের শঙ্কার কথা তুলে ধরছেন।’

শিক্ষা খাতের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘শিক্ষার অবস্থা করুণ। নতুন সিলেবাস নিয়ে দলমত নির্বিশেষে সংশ্লিষ্টরা মত প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন ডামি সরকার চায় মেরুদণ্ডহীন ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি করতে। আইন আদালত রাজনৈতিকভাবে বায়াস। এটা সবাই জানেন।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্টের বিষয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের কত শতাংশ মানুষ না খেয়ে থাকছেন। কত শতাংশ মানুষ ঋণ করে খাচ্ছেন, এক বেলা খাচ্ছেন। সরকার জনগণের জন্য ভালো কিছু করছে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। না খেয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা লাখ লাখ নয়, ৪ থেকে ৬ কোটি হবে। এই সংখ্যা কোনো কোনো দেশের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি।’

উন্নয়ন নিয়ে সরকারের বক্তব্যের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘সরকার উন্নয়নের কথা বলে। সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মেগা প্রজেক্টের ব্যয় দুইগুণ, তিনগুণ, চারগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল দূর্নীতি করা, উন্নয়ন নয়। সেটি তারা করেছে। দেশের মানুষ তা বুঝতে পারছে। দেশে-বিদেশে তা প্রমাণ হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের মুখে ভারত বন্দনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ডামি সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিবেশী দেশের প্রশংসা করছে জনগণের সামনে। বশ্যতা স্বীকার করছে। প্রমাণিত হয়েছে তারা ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছেন। সীমান্তে আমাদের সীমান্তরক্ষীদের হত্যা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা। কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না।’

তিনি বলেন, আজকে সবার প্রতি আহ্বান জানাব, সবাইকে বুঝতে হবে আজকে সরকার দেশকে কোথায় নিয়ে গেছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ কতটুক অবশিষ্ট আছে। কতোটুকু স্বাধীন আমরা। জনগনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। মানুষের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান নেই।  

তারেক রহমান বলেন, ‘দেশ পরাধীনতার গ্লানিতে চলে গেছে। ২০০ বছর আমরা পরাধীন ছিলাম। এখন রুখে না দাড়ালে আগামী দিনে কত বছর পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে হবে তা ভবিষ্যত বলতে পারবে। এই শৃঙ্খল ভাঙতে হলে কোনো একক দল নয়, একক ব্যক্তি নয় দলমত নির্বিশেষে সকল গণতন্ত্রপ্রেমী শ্রেণী-পেশার মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই বেরিয়ে আসা সম্ভব। দেশের মানুষ অধিকার হারিয়েছে। বিএনপি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এই আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আন্দোলন। তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!