ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যে দেশ ভোট ডাকাত দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, সেই দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেল। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সেই নির্বাচনকেও তারা স্বীকৃতি দিল। এবার ২০২৪ সালে এতো বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেল- তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন, আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা- তারা বলছেন আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, সেই দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করি।
বিএনপি নেতারা শাল পোড়ায়, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ায় না- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, আমাদের বিএনপি নেতারা ভারত থেকে শাড়িতে মন কেনে না। আমার নানার বাড়ি ভারত। বিয়ের পর একবার গিয়েছিলাম। আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার মিসেসকে একটি শাড়ি দিয়েছিল, আমি কয়েকদিন আগে আমার মিসেসকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার মিসেস বলল ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে, পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা।
প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন। আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এদেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-যুবকরা। নজরুল ইসলাম খান, সাদেক হোসেন খোকা প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা, তারা কি আওয়ামী লীগ করতেন?
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সরকারের গুমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তরুণদেরকে-যুবকদেরকে গুম করার উদ্দেশ্যই হলো এই সরকার দখলদার সরকার, নতজানু সরকার। কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফিরাতও কামনা করতে পারে না। তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। এই ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে সরকার।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, যুবদলের সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।