ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌছান। এর আগে তার নতুন চিকিৎসাপত্র দেয় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
জানা গেছে, প্রায় ৩ দিন হাসপাতালে অবস্থানের তার স্বাস্থ্যের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষার ফলাফল মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ টিম পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেন। এরমধ্যেই তার ফুসফুস থেকে পানি বের করেন চিকিৎসকরা।
গত শনিবার গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার সর্বশেষ অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন। লিভার ও কিডনি জটিলতার কারণেই তিনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে মনে করছেন তারা। গত সোমবার রাতেও বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝুম মিটিংয়ে বেগম জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করা হয়।
জানতে চাইলে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ওষুধে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি খাবারের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
গত ২৭ মার্চ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হলে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা গুলশানের বাসভবনে গিয়ে তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং বাসায় রেখেই চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। গত শনিবার আবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে তার চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আথ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত।
গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি।