DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

ইসরাইলে হামলার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে: ইরানি জেনারেল

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি বলেছেন, ‘ইসরাইলে যেসব লক্ষ্যে হামলা চালানো হয়েছে, তার সব কটিই পূরণ হয়েছে। ইসরাইল এ হামলার জবাব না দিলে দেশটিতে আর কোনো হামলার পরিকল্পনা নেই তেহরানের।
ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজের বরাতে আল-জাজিরা এ খবর দিয়েছে।
গত ১লা এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। জবাবে শনিবার রাতে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। হামলার বিষয়ে মোহাম্মদ বাগেরি বলেন, গতকাল কোনো বেসামরিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়নি। শুধু সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করা হয়েছে। বিশেষ করে হেরমন পর্বতে ইসরাইলের একটি গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। দামেস্ক কনস্যুলেটে হামলায় ওই ঘাঁটি জড়িত। নেগেভ মরুভূমিতে ইসরাইলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে। সেখান থেকে ইসরাইলের যুদ্ধবিমানগুলো কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল।’  
   
ইরানের হামলায় এই দুটি লক্ষ্যবস্তুই ‘উল্লেখযোগ্যভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে’ জানিয়ে এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, গতকালের হামলার চেয়ে ‘১০ গুণ শক্তিশালী’ হামলা চালাতে সক্ষম তেহরান।
ওদিকে ইসরাইল দাবি করেছে, হামলার প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। হামলায় আহত হয়েছেন কয়েকজন, এর মাঝে রয়েছে সাত বছর বয়সী এক বেদুইন শিশু।

এছাড়া ইসরাইলের বিমান ঘাঁটি নেভাটিমে অন্তত ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে।
এদিকে ইরান জানিয়েছে, এখনো তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে তারা। তবে তারা যা আশা করেছিল, ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতি তার চেয়েও বেশি হয়েছে।
হামলাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মিশর, জর্ডান, লেবানন, ইরাকসহ সবগুলো দেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সৌদি আরব বলেছে, তারা আঞ্চলিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। তবে হামলার জন্য ইরানের নিন্দা করেনি রিয়াদ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরানের এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র থামিয়ে দিতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইসরাইলের সামরিক বাহিনী থেকে জানানো হয়েছে, এ সময়ে যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য মিত্র দেশের পাশাপাশি ফ্রান্সের সহায়তাও পেয়েছে তারা।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র জর্ডান ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানায়। দেশটি বলেছিল, তাদের আকাশ সীমানায় কোনো ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন প্রবেশ করলে ইসরাইল পর্যন্ত যাওয়ার আগেই তা ধ্বংস করে দেবে তারা।
ওদিকে ইরানের হামলার পর ইসরাইলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পর পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফোনালাপে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটাও বলা হয়, ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত করতে চাইলে ইসরাইলের পাশে থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!