ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি ছোড়া হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকাল ৫টায়, একটি মোটরসাইকেলে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি বান্দ্রায় সালমান খানের বাড়ি গ্যালাক্সির বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং গুলি চালানো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
গত বছর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে সালমান খান ১০টি গ্যাংয়ের টার্গেট তালিকায় শীর্ষে আছেন। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর নামও। ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সালমানের। তার পর থেকেই তিনি চলে আসেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের বিষ নজরে।
এর আগেও তারা সালমান খানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। ভাড়া করেছিলেন শার্প শ্যুটার।
বিষ্ণোই এর আগেও বলেছিল যে তাঁর বন্ধু সম্পাত নেহরা, সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির দিকে নজরদারি চালিয়েছে। সালমানকে প্রাণে মারার জন্য সঠিক উপায় তৈরির জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল সে।
হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের হাতে ধরা পড়ে নেহরা। আপাতত সে-ও রয়েছে কারাগারে।
২০২২ সালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হুমকিমূলক চিঠি পেয়েছিলেন সালমান খান। যেখানে তাকে ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে মেরে ফেলার কথা লেখা হয়েছিল। এমনকি কানাডাভিত্তিক পলাতক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, সালমান খান রয়েছেন তাদের হত্যা তালিকায়।
গোল্ডি সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল লরেন্সের কথা। বলেছিল, ‘আমরা ওকে মারব, আমরা ওকে মারবই মারব। ভাই সাব (লরেন্স বিষ্ণোই) বলেছিলেন, ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাবা তখনই করুণা দেখাবেন যখন তিনি করুণাময় বোধ করবেন। সালমান খান যে বর্তমানে আমাদের টার্গেট, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সফল হলে তো আপনারা জানতেই পারবেন।’
এই গোল্ডি ব্রারই ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পেছনে ছিল। গোল্ডি ব্রারের নাম ছিল কানাডার টপ ২৫ মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতকদের তালিকায়।