ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পাকিস্তানের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আওয়ামী লীগের আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বিএনপির জন্ম হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রবিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা- জাসাসের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
আব্দুস সালাম বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় শুধু পাকিস্তান খুঁজেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলব- আপনারা পাকিস্তান পাকিস্তান করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, পাকিস্তানের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্যই আপনাদের জন্ম হয়েছে আর বিএনপির জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জন্ম হয়েছিল ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে ধারাবাহিকতা সেটা বিএনপির মধ্যেই বেশি থাকে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, দেশবাসীকে দ্বিধান্বিত করার জন্যই পাকিস্তান পাকিস্তান বলে দুয়ো তোলে আওয়ামী লীগ। দেশবাসীর জিজ্ঞাসা, যুদ্ধের পরে শহীদদের রক্ত শুকানোর আগেই ইয়াহিয়ার অনুচরদের বাংলাদেশে কারা এনেছিলেন, কারা শহীদদের রক্তে ভেজা লাল গালিচায় তাদেরকে হাঁটিয়েছিলেন। তারা বারবার যে পাকিস্তানের কথা বলেন- সেই পাকিস্তানে প্রথম বন্ধুত্ব স্থাপনের জন্য কারা উড়ে গিয়েছিলেন?
সালাম বলেন, তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলেন, কিন্তু সংবিধানে কী আছে? সংবিধান অনুযায়ী এখনো আমরা বাংলাদেশি। পাসপোর্টেও লেখা হয় বাংলাদেশি। কিন্তু তারা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বলে- আমরা বাঙালি আর বিএনপি হলো বাংলাদেশি। এ সমস্ত মিথ্যাচার একমাত্র আওয়ামী লীগই করতে পারে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এই আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে- আমার ভাষা, আমার সংস্কৃতি, আমার ঐতিহ্য, আমার গণতন্ত্র, আমার স্বাধীনতা কোনেটাই নিরাপদ নয়।
আমার ভাষা, আমার সংস্কৃতি আজ কাদের আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে? আজকে আকাশপথে আমার সংস্কৃতির উপর, আমার ভাষার উপর যে আগ্রাসন- সেটাকে কিন্তু আমরা রোধ করতে পারছি না।
আবদুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে সবকিছু বিকিয়ে দিচ্ছে। তাই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্দোলনে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
জাসাসের যুগ্ম আহবায়ক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার পর জাসাসের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।