ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের কাছে বিভিন্ন দেশের বিমান কোম্পানির পাওনা দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা (৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার)। দেনা পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)।
বিপুল অংকের টাকা আটকে রাখায় সেসব প্রতিষ্ঠান চাপের মুখে পড়েছে। আর এতে লঙ্ঘন হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল চুক্তি। সংস্থাটি এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছে।
একই সঙ্গে সংস্থাটি পাকিস্তানকেও সতর্ক করেছে। পাকিস্তানের কাছে বিমান প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা (৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার)।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে আইএটিএর এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহ-সভাপতি ফিলিপ গোহ এসব তথ্য জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওভারফ্লাইট পরিচালনায় নানা রকম ব্যয় বহন করতে হয়। জ্বালানির দাম, বেতন, যন্ত্রাংশ ক্রয়, বিদেশে বিমানকর্মীদের থাকা-খাওয়া ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশ সময়মতো পাওনা পরিশোধ না করায় এসব প্রতিষ্ঠান বিপাকে পড়েছে।
বিমান সংস্থা আইএটিএতে এখন বিশ্বের ৩০০ বিমান কোম্পানি রয়েছে। আইএটিএ বিশ্বের প্রায় ৮৪ শতাংশ যাত্রী বহন করে। সদস্য দেশগুলোর নীতিমালা অনুসরণ জরুরি।
ফিলিপ গোহ বলেন, বাংলাদেশ ডলার সংকটে রয়েছে। এ কারণে তারা অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। ফিলিপ গোহ বাংলাদেশ ব্যাংককে এভিয়েশন খাতে নজর বাড়াতে বলেছেন। আইএটিএ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে বলে তিনি জানান।
প্রশ্ন হলো এত টাকা বকেয়া পড়ল কিভাবে?
বাংলাদেশ বিমান পরিচালনা বোর্ডের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশি বিমানে চলাচল করার জন্য যারা বাংলাদেশ থেকে টিকেট বিক্রি করে তাদের ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বিদেশে পাঠাতে হয়। প্রতি মাসে পাঠানোর নিয়ম। কয়েক বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। ফলে বকেয়া পড়েছে।
অনেকে বলছেন, পাওনা পরিশোধে দেরি হওয়ায় বিদেশি বিমান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে টিটিটের দাম বাড়িয়েছে। ডলারের দাম ওঠানামা করায় এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।