DMCA.com Protection Status
title="৭

বৃষ্টি ও ধান কাটা মৌসুমের কারণে ভোট কম পড়েছে: সিইসি

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে

বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সিইসি। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সামগ্রিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। যে ক’টি ঘটনা ঘটেছে সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৩৪টি ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৪ জন। এছাড়া ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সহিংসতা হয়নি, সহিংসতা হয়েছে কেন্দ্রের বাইরে। এই সহিংসতায় দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয় দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে ২২টিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হয়।

বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জানা যায়, প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে মোট এক হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

ইসি জানায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ উপজেলার তিন পদে সবাই নির্বাচিত হয়েছেন। তাই ওই পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি। উপজেলাগুলো হলো- নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, ফেনীর পরশুরাম ও মাদারীপুর জেলার শিবচর।

ইসি জানায়, বুধবার ভোটগ্রহণকালে ভোটার ও কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মাঠে ছিলেন ১৪ হাজার ৬১০ জন বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ এবং পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জনের ভ্রাম্যমাণ টিম।

এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ জন সদস্য।

অন্যদিকে র‍্যাবের দুই হাজার ৬৪৮ জন ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য নিয়োজিত ছিলেন।

এদিকে নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হয়। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ১৩৯ জন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!