ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতীয় অস্ত্র নিয়ে একটি জাহাজ ভূমধ্যাগরে গিয়েছে। ডেনমার্কের পতাকাবাহী জাহাজটি ভারতের চেন্নাই বন্দর থেকে রওনা হয়েছিল। জাহাজের নাবিকরা ভূমধ্যসাগর সংলগ্ন স্পেন উপকূলে নোঙর করতে চেয়েছিলেন। পরিকল্পনা ছিল, স্পেনে কিছু দিন বিশ্রাম নিয়ে নতুন করে জ্বালানি ভরে রওনা হবেন।
কিন্তু ভারতের বন্ধুরাষ্ট্র স্পেন তাদের সেখানে নোঙর দেয়নি। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো বলেছেন, “আমরা এই প্রথম কোনো বিদেশি জাহাজকে ‘না’ বলেছি। কারণ এই জাহাজে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আছে। আমরা আরও জানতে পেরেছি অস্ত্রগুলি ইসরায়েলে পাঠানো হচ্ছে।”
গত ২১ মে জাহাজটি স্পেনের বন্দরে নোঙর করার অনুমতি চেয়েছিল। বুয়েনো বলেন, ‘ভবিষ্যতে অন্য যেকোনো দেশের যেকোনো জাহাজও একই কারণে আটকাবে স্পেন। এটাই আমাদের নীতি। কারণ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি চায়। আর অস্ত্র চায় না।’
গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৭ টন অস্ত্র ওই জাহাজে করে চেন্নাই থেকে ইসরায়েলে পাঠানো হচ্ছিল। তবে কি ভারত যুদ্ধের আবহে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ করছে?
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা করলে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয়। হামাস আটক করে শ খানেক ইসরায়েলিকে। ইসরায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এখনও যুদ্ধ থামেনি সেই যুদ্ধ। গত আট মাসে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ধ্বংস করেছে অসংখ্য বাড়িঘর ও কৃষি জমি।
ভারত বলছে, এই যুদ্ধে তারা বরাবরই নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করছে। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে কয়েক দফায় অস্ত্র পাঠানোর খবর এসেছে। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
লোহিত সাগরীয় অঞ্চল দিয়েই সমুদ্রপথে ইসরায়েলে যাওয়ার রুট রয়েছে। কিন্তু চেন্নাই থেকে রওনা দিয়ে ভারতের জাহাজটি ঘুরপথে কেন ভূমধ্যসাগরে গেল? তারা গোপনে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ।
ভারত এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেনি। তারা শুধু বলেছে, ভূমধ্যসাগরে কোনো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়নি।’ এ বিষয়ে ইসরায়েল কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
গাজ়ায় ইসরায়েলের হামলার বিরোধিতা করে আসছে স্পেন। যুদ্ধের শুরুতেই ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও তারা বলেছে বারবার।