DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ডাকাতির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ব্যবসায়ীকে মারধর করে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার আদালত তাদের জামিন দেন।

দুই নেতা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ফলিত রসায়ন কেমিকৌশল বিভাগের ছাত্র নাফিস ফুয়াদ। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আরেকজন নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের পরিবেশ সম্পাদক মাহিদুর রহমান বাঁধন। বাঁধন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মামলায় উল্লেখিত আসামিরা হলেন- নিশান, রাসেল মিয়া এবং রাফি। তাদের বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে ঢাবির এই দুই নেতাকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মো. রুবেল নামে এক ব্যবসায়ীকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে নিশান শাহবাগে ডেকে নেন। সেখানে পৌঁছালে অভিযুক্ত সবাই মোটরসাইকেলে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের নির্জন স্থানে নেন। সেখানে বাঁশ-লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। এসময় তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের অ্যাপস থেকে ৫০ হাজার টাকা বিকাশের নিয়ে দেন। এরপর নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে।

এ ছাড়াও রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা, পরবর্তী এটিএম কার্ড থেকে টিএসসি জনতা ব্যাংকের বুথ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা এবং মানিব্যাগ থেকে ৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেন আসামিরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহিদুর রহমান সমকালকে বলেন, পরিচিত এক বড় ভাই আমাদের ডেকে নিয়েছিলেন। টাকা পাওনা নিয়ে একটা বিষয় ছিল। মারধরের ঘটনা ঘটেনি। পরে থানায় বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছি। থানা থেকে মামলার কাগজপত্র পেলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

এ দিকে আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!