ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্যে ভয়ভীতি ও হত্যার’ অভিযোগ এনেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল। এসময় তিনি নির্বাচন কমিশনসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার ৬৮টি কেন্দ্রের নেতা-কর্মীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ, প্রতিনিয়ত তারা হুমকি দিচ্ছেন। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার নেতা-কর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত। আমি এখন টিকে থাকতে পারছি না।’
সোমবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম এসব অভিযোগ করেন। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সদরপুর উপজেলা নির্বাচন।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যানরা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানরা, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এমপি মহোদয়ের লোকেরা হুমকি দিচ্ছে, প্রকাশ্যে সিল মেরে দেবে, কোনো এজেন্ট ঢুকতে দেবেনা। এমপি মহোদয় নিজেই বলতেছেন, আমাকে ৬৮টি কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে দেবেন না। এমপির এই বক্তব্যে তার নেতা-কর্মীরা উৎসাহিত হচ্ছেন যে, আমার জীবন এখন হুমকির মুখে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে ২১ মে নিক্সন চৌধুরী আমার বাড়িতে এসে শত শত লোকের সামনে থেকে আমাকে গাড়িতে তুলে নেন এবং নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া ঘোষণা দিতে বাধ্য করেন। এর পরও জনগণের দাবির মুখে আবার নির্বাচনের মাঠে ফিরেছি।’
শহিদুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করেন, ‘২৫ মে নিক্সন চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকার বাসভবনে নির্বাচনী সভা করেন। সেখানে শুধু তিনিই নন, তার অনুসারী ইউপি চেয়ারম্যানরাও ঘোষণা দেন যে ৬৮টি ভোটকেন্দ্রের একটিতেও আমাকে এজেন্ট দিতে দেবেন না। ওই সভায় এমপি বলেন, নির্বাচনে কাজী শফিকুর রহমান নন, আমি নিজেই প্রার্থী।’
নিজেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে বাবুল বলেন, ‘ওই সভায় নিক্সন চৌধুরী আমাকে “জারজ সন্তান” বলে গালিগালাজ করেন এবং সদরপুরে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দেন।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলেন, ‘যারা জানে যে ভোটে হেরে যাবে, তারাতো সংবাদ সম্মেলন করে এসব উল্টাপাল্টা কথা বলবেই। আর ২৫ মে তো আমি ঢাকায় ছিলাম তাহলে মিটিং করলাম কিভাবে?’