ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের কারণে জুন মাসে দাম কিছুটা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দর নির্ধারণের কথা জানানো হয়, যা শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দর অনুযায়ী, জুনে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বর্তমান মূল্য লিটারপ্রতি ১০৭ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা বেড়ে ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা হবে। পেট্রোলের বর্তমান মূল্য লিটার ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে ১২৭ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে ১৩১ নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি মে মাসেও জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ আড়াই টাকা করে বেড়েছিল।
এ মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোলের দাম ১২২ টাকা থেকে আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং অকটেনের দাম ১২৬ টাকা থেকে আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।
ডলারের বিনিময়মূল্য বাজারভিত্তিক করায় এক লাফে প্রতি ডলার ১১০ থেকে সম্প্রতি ১১৭ টাকায় পৌঁছায়।
তবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল কেনাকাটায় এই বাড়তি দাম কতটা ভূমিকা রেখেছে তা পরিষ্কার নয়।
অনলাইন পোর্টাল অয়েল প্রাইসের তথ্য অনুযায়ী গত এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের গড় মূল্য ব্যারেলপ্রতি৮৮ ডলার থেকে ৮৩ ডলারে নেমেছে।
এ দরের সঙ্গে সমন্বয়ের পর ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০ দশমিক ৭৬ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং পেট্রোল ১০৩ দশমিক ৯৪ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৩ টাকা ৯৬ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে।
গত মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে সরকার।
প্রথম দুই মাসে দাম কিছুটা কমলেও এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে দাম বাড়ছে।