DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

দেশে পরিবর্তন আনতে ছাত্রসমাজকে রাজপথে নামতে হবে: গয়েশ্বর চন্দ্র

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারায় পরিবর্তন আনতে ছাত্রসমাজকে রাজপথে নামতে হবে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা প্রসঙ্গ টেনে তিনি ছাত্রদেরকে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দলটির প্রতিষ্ঠা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু আফসান ইয়াহিয়া, আমানউল্লাহ আমান, জাহাঙ্গীর আলম, শরিফ প্রধান শুভ, গনেশ চন্দ্র রায়, নাহিদুজ্জামান শিপন প্রমুখ।

শিশুরা সুন্দর মাতৃক্রোড়ে, ছাত্ররা সুন্দর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে- উল্লেখ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মা-বাবা তার সন্তানকে লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়েছেন। ফলে একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে, আবাসিক হলে থাকবে, লেখাপড়া-খেলাধুলা করবে, সকল অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করবে, প্রতিরোধ গড়বে। কিন্তু সেই ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে দেওয়া হয় না, গেলে তাদের রক্তাক্ত হতে হয়। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন আমলে অর্থাৎ গত ১৫-১৬ বছরে কত যে সম্ভাবনাময় জীবন শেষ হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে বর্তমান ফ্যাসিবাদের পতন ঘটবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘বিএনপিকে শেষ করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। কিন্তু যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্যদিয়ে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে, তাদের মুখে চুনকালি মেখে দিয়ে গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে নেমে এসেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তার নেতৃত্ব বিএনপি দেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আবারও বিএনপিকে ধ্বংস করতে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকারের সেই হীন চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করবেন। যেদিন তিনি আসবেন, সেদিন জনতার ঢেউয়ে আপনারা কোথায় ভেসে যাবেন তা চিন্তা করুন।’

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে কোথাও কর্মসূচি করতে হল ভাড়া দেওয়া হয় না। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। বারবার সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছি। তবু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িনি। আজকে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।’ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকেও সে পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসাদুজ্জামান আসলাম, সুজন মোল্লা, মহানগর ছাত্রদলের শেখ খালিদ হাসান জ্যাকি, আল আমিন, পাভেল সিকদার, নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, মেহেদী হাসান রুয়েল, রাসেল বাবু, নাসির আনান, জুয়েল হাসান রাজ, ঢাকা কলেজের শাহীনুর রহমান (শাহীন), জুলহাস মিয়া (মৃধা জুলহাস), সরকারি তিতুমীর কলেজের আরিফুর রহমান এমদাদ, ইমাম হোসেন, তেজগাঁও কলেজের ফয়সাল দেওয়ান বেলাল হোসেন খান, কবি নজরুল সরকারি কলেজের সাইদুর রহমান সাইদ, কাওসার হোসেন, সরকারি বাঙলা কলেজের হোসেন বিপ্লব, বেল্লাল হোসেন সোহাগ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু হোরায়রা, রাজিবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আহমেদুল কবীর তাপস, বি.এম. আলমগীর কবীর প্রমুখ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!