ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ আওয়ামী লীগের লোক নন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বেনজীর আমাদের দলের লোক নয়। সিনিয়রিটি ও মেধা নিয়ে সে আইজিপি হয়েছে। আজিজও আমাদের দলের লোক নয়। তার যোগ্যতায় ও সিনিয়রিটিতে সে সেনাপ্রধান হয়েছে। এখন তারা যদি কোনো অপকর্ম করে এবং সেটা যখন সরকারের কাছে আসে, তখন এদের বিচার করার সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনাদের সময় কেউ শাস্তি পায়নি। আপনাদের দলের নেতা নিজেই দুর্নীতিবাজ। সিঙ্গাপুর থেকে কোকোর (আরাফাত রহমান কোকো) টাকার একটা অংশ আনতে পেরেছি। এফবিআই ঢাকায় এসে তারেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লক্ষ করেছি—বিরোধী দল বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাদের দলের প্রধান দুর্নীতির অভিযোগে সাজা ভোগ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদারতায় বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এটা করেছেন। বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনি, তাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়নি। হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।’
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, ‘বিরোধী দল বিএনপি যোগ না দিলেও এই নির্বাচন সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ। ’৭৫-পরবর্তী সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ছিল এবারের নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন নিয়েও এত কথা, জনগণ নাকি ভোট দিতে যায় না। অথচ প্রথম ধাপে ৩৬, দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ এবং তৃতীয় ধাপে ৩৮ শতাংশেরও বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল। জাতীয় নির্বাচনেও ৪২ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। এখানে কোনো প্রাণহানি হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবের, প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। আটজনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মঈন উ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছে। কে করেছে? বেগম খালেদা জিয়া। আশরাফুল, রকিবুল হুদা, কোহিনূর কার সৃষ্টি?’
দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের বদনাম করে কেউ কোনো অপকর্ম করবেন না। সত্য সত্যই। বাইরে থেকে বেনজীরকে আমরা যেভাবে দেখেছি, তিনি যে আরেক বেনজীর, ভেতর থেকে সেটা তো এখন সত্য হয়ে দেখা দিচ্ছে। একজন মানুষের চলতে-ফিরতে কত লাগে? দলের নেতা যদি দলের কর্মীদের কাছে টাকা-পয়সা চায়, এটা খুব লজ্জার বিষয়।’