ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরবর্তী প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ জুন থেকে তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তর থেকে আজ এ নিয়োগ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়। ১৩তম বিএম এর লং কোর্সের এই অফিসার বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল শেখ মো. শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
শেখ হাসিনার চাচাতো বোনের জামাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বর্তমানে চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। ওয়াকার-উজ-জামানের শ্বশুর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের ফুপাতো ভাই।
ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়োগের আগে সেনাপ্রধান হবার দৌড়ে থাকা ১৩ তম লং কোর্সের আরেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মতিউর রহমানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ন্যস্ত করা হয় এবং সেখান থেকে তিনি স্বাভাবিক অবসরে যান।
আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৩ জুন থেকে বিএ-২৯০২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে (ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, চিফ অব জেনারেল স্টাফ-সিজিএস) জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে পরবর্তী ৩ বৎসরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এছাড়াও, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস’ ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি অর্জন করেন।
সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও, তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।