DMCA.com Protection Status
title="৭

সালমান রহমান ও তারিক সিদ্দিকের ‘প্লান বি’ ব্যর্থ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সংসদে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা বাতিলের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠে। ঠিক ওই সময় পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে দেশ ছেড়ে যেতে হবে—এমন ভাবনায় হন্যে হয়ে বিকল্প (ব্যাকআপ) খুঁজতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগী।

শেখ হাসিনার অত্যন্ত কাছের ওই দুই ব্যক্তি হলেন তার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান) এবং নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে গেলে নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে বিকল্প হিসেবে প্রভাবশালী এই দুই ব্যক্তি অন্য দেশের পাসপোর্ট (দ্বৈত নাগরিকত্ব) পাওয়ার জোর চেষ্টা চালান। দ্বৈত নাগরিকত্ব পেতে এই দুইজন যে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়েছিলেন তার কিছু কাগজপত্র হাতে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর সালমান এফ রহমান এবং জেনারেল সিদ্দিকের বড় রকমের প্রভাব রয়েছে। দেশের বেসরকারি খাতের প্রায় সমস্ত কিছু কার্যত সালমান এফ রহমান নিয়ন্ত্রণ করেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের সামরিক এবং গোয়েন্দা সংস্থার ওপর তারিক সিদ্দিক যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেন।

প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনার সঙ্গে তারিক সিদ্দিকের ছোট ভাই শফিক আহমেদ সিদ্দিকের বিয়ে হয়েছে। এই আত্মীয়তার সূত্র ধরেই তারিক সিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা হন এবং দেশের এক প্রতাপশালী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

প্রসঙ্গত, শফিক-রেহেনা দম্পতির মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সাল থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১১ সালের শেষ দিকে সালমান রহমান ও তারিক সিদ্দিক সপরিবারে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়ার অনেকগুলো শর্তের মধ্যে অন্যতম হলো দেশটিতে বিনিয়োগ করা। তারাও বিনিয়োগের মাধ্যমেই নাগরিকত্ব (সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টম্যান) পাওয়ার চেষ্টা চালান। দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক পরামর্শক সংস্থা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের (এইচপিএল) মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন তারা। সালমান এফ রহমান সংস্থাটির জুরিখ কার্যালয় এবং তারিক সিদ্দিক সংস্থাটির দুবাই শাখার মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালান।

 

কথা হলো, এতো দেশ থাকতে তারা ২৬১ বর্গ কিলোমিটারের ছোট এক দ্বীপ রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের নাগরিকত্বের চেষ্টা চালান কেন? কারণ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের পাসপোর্ট বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টগুলোর মধ্য একটি। হেনলি পাসপোর্ট সূচকে দেশটির অবস্থান ২৬ তম (বাংলাদেশ ৯৮ তম)। তাই এই পাসপোর্টে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের ব্যাপক সুবিধা পাওয়া যায়। দেশটির পাসপোর্টে তুলনামূলকভাবে কম সময়ে অন্য দেশের ভিসা পাওয়া যায় এবং ১৫৬টি দেশে ভিসা ছাড়াই যাওয়া যায়। নিজের জন্য এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য এই পাসপোর্ট পেতে দেশটিতে আবেদনকারীকে এক লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে হয়। সালমান রহমান এবং তারিক সিদ্দিকও সেই টাকা বিনিয়োগের আবেদন করেছিলেন। যদিও ওয়ার্ল্ড-চেক রিপোর্টের নেতিবাচক প্রতিবেদনের ফলে তাদের আবেদন শেষ পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করে এইচপিএল।    

আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছিল কেন?

ওয়ার্ল্ড-চেক হলো একটি বৈশ্বিক তথ্যভান্ডার (ডেটাবেজ)। বিশ্বব্যাপী এই ডেটাবেজ ব্যবহার করে আর্থিক ও সুনাম ক্ষুন্নের ঝুঁকি মূল্যায়ন করা হয়। এই ওয়ার্ল্ড চেকই ২০১৩ সালে সালমান এফ রহমান সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনের ফলেই তার আবেদন নিয়ে সামনে না আগানোর সিদ্ধান্ত নেয় এইচপিএল। এই সংক্রান্ত এইচপিএলের অভ্যন্তরীণ একটি ই-মেইল দেখেছে। যেখানে গ্রাহক হিসেবে সালমান এফ রহমানকে গ্রহণ না করার কথা বলা হয়েছে।

কারণ হিসেবে ই-মেইলটিতে বলা হয়, সালমান এফ রহমান জালিয়াতি, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ধরনের সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে জড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত। আর এসব অভিযোগ ২০০৭ ও ২০০৮ সালে উঠেছিল।

এদিকে, ওয়ার্ল্ড-চেকের উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাপারে সালমান এফ রহমানের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তবে তা সত্ত্বেও এইচপিএল তার আবেদন নিয়ে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

 

এইচপিএলের অভ্যন্তরীণ অপর একটি ই-মেইলে বলা হয়, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সেনা-সমর্থিত সরকারের দায়ের করা এসব অভিযোগের নিষ্পত্তি বা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত তার আবেদন নিয়ে কাজ না করার সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইচপিএল। তবে ওই আবেদন প্রত্যাখ্যানের পর সালমান এফ রহমান বিনিয়োগের বিনিময়ে অন্য কোথাও নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে কোনো তথ্যপ্রমাণ পায়নি।

তবে তারিক সিদ্দিকের ক্ষেত্রে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরেও তিনি অন্য দেশে দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালান। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ছাড়াও কয়েকটি দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার তারিক সিদ্দিকের চেষ্টার তথ্যপ্রমাণ  পেয়েছে। ওইসব আবেদনেও তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। তার জন্য অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে নিজের অবস্থান। ওই অবস্থানের কারণে তারিক সিদ্দিক রাজনৈতিকভাবে উন্মুক্ত ব্যক্তি (পলিটিক্যালি এক্সপোজড পারসন-পিইপি) হিসেবে বিবেচিত হতেন। (প্রসঙ্গত: পিইপি সম্পর্কে উইকিপিডিয়া বলছে, আর্থিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে—কোনো বিশিষ্ট পাবলিক ফাংশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন ব্যক্তিকে রাজনৈতিকভাবে উন্মুক্ত ব্যক্তি (পিইপি) বলা হয়। এই ব্যক্তিরা সাধারণত নিজেদের অবস্থান এবং প্রভাবের কারণে ঘুষ ও দুর্নীতিতে জড়ানোর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। )

 

২০০৯ সালে তারিক সিদ্দিকের স্ত্রী মিসেস (শাহীন) সিদ্দিক একজন অংশীদার (পার্টনার) নিয়ে প্রচ্ছায়া নামে একটি বিতর্কিত আবাসন কোম্পানির ব্যবসা শুরু করেন।  একই বছর তার স্বামী প্রভাবশালী সরকারি পদে নিয়োগ পান। যা দুর্নীতির ঝুঁকির উদ্বেগকে আরও বাড়ায়। ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট ওয়ার্ল্ড চেকের প্রকাশিত ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচ্ছায়া বাংলাদেশের ঢাকার মূল্যবান সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলে জড়িত বলে মনে করা হয়।

ওই ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানে দেখা গেছে তারিক সিদ্দিক এবং শহীদ উদ্দিন খান ( প্রচ্ছায়ার আরেক অংশীদার) সম্পর্কে প্রকাশ্যে (পাবলিক ডোমেনে) বেশকিছু নেতিবাচক তথ্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচ্ছায়া কোম্পানির তিন কর্তা ব্যক্তি এবং প্রচ্ছায়া কোম্পানি মূলত অর্থপাচার, দুর্নীতি, জালিয়াতি এবং ঘুষের সঙ্গে জড়িত।

এছাড়া অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিতর্কিত মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি ডেসটিনির গ্রুপের সাবসিডিয়ারি (ভর্তুকিমূলক) প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি ব্যাংক লিমিটেডে তারিক সিদ্দিকের শেয়ার রয়েছে। ডেসটিনির নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক এক সেনাপ্রধান। তবে ওই শেয়ারগুলো মিসেস সিদ্দিকের কোম্পানির মালিকানায় ছিল।

ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এসব তথ্যের ভিত্তিতে মিসেস সিদ্দিক, তার স্বামী এবং তার ব্যবসায়িক অংশীদারকে সমন্বিতভাবে মূল্যায়নের পর তারিক সিদ্দিকের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

তারিক সিদ্দিকের নিরলস চেষ্টা

২০১৪ সালের অক্টোবরে তারিক সিদ্দিক এবং তার ছোট মেয়ে বুশরা সিদ্দিক মাল্টার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। বুশরা তখন যুক্তরাজ্যে স্নাতকে শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং প্রচ্ছায়ার একজন পরিচালক। মাল্টার নাগরিকত্বের সুবিধা হলো—দেশটির নাগরিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) যেকোনো জায়গায় বসবাস ও কাজের সুযোগ পান। পাশাপাশি ১৮৬টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাভাইল ভিসায় ভ্রমণের সুবিধা পান।

 

২০১৫ সালে মাল্টার নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের শর্তে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের মধ্যে ছিল—মূল আবেদনকারীকে সাড়ে ৬ লাখ ইউরো পরিশোধের পাশাপাশি বন্ড ও স্থায়ী সম্পদে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়া স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের জন্যও বাড়তি ব্যয় করতে হবে। সেই সময় নিজের আবেদনকে জোরদার করতে মিসেস সিদ্দিক মালয়েশিয়ার সিআইএমবি ব্যাংকের একটি স্ট্যাটমেন্ট জমা দেন। জমা দেওয়া ওই স্টেটমেন্টের কপি  দেখেছে।

মজার ব্যাপার হলো, সিআইএমবির ওই ব্যাংক হিসাবে ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বরে মাত্র ৫০০ মার্কিন ডলার জমা ছিল। কিন্তু দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাখ্যাতীতভাবে তা ফুলে-ফেঁপে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৮২ মার্কিন ডলার হয়। আর ফেব্রুয়ারি নাগাদ, মাল্টার নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের আগ মুহূর্তে তা গিয়ে দাঁড়ায় (২.৭৬ মিলিয়ন) ২৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারে। মাল্টার নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের জন্য যা যথেষ্ঠ ছিল।

কিন্তু এই আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরও সিদ্দিক পরিবার অন্য দেশের নাগরিকত্ব পেতে চেষ্টা চালান। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তারা সাইপ্রাসের গোল্ডেন পাসপোর্ট স্কিম পাওয়ার চেষ্টা চালান। এই স্কিমের আওতায় সর্বনিম্ন ২০ লাখ ইউরো বিনিয়োগের বিনিময়ে দ্বীপ দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এই চেষ্টাও প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে ব্যর্থ হয়। যদিও পরবর্তীতে সিদ্দিক তার ছোট মেয়ে বুশরার জন্য বিদেশে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন।

 

বুশরা ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করার জন্য ২০১৬ সাল পযন্ত যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন। তিন বছরের কোর্সের মাঝপথে তিনি আমেরিকান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হন।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে বুশরা এবং তার স্বামী মোহাম্মদ আশিক সালাম মিলে লন্ডনের অভিজাত গোল্ডার্স গ্রীনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় নগদ প্রায় ২০ লাখ ইউরো (প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা) দিয়ে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি কেনেন। সবচেয়ে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো, যখন এই দম্পতি বাড়িটি কেনেন তখন তাদের বয়স সদ্য ২০ পেরিয়েছে। তাছাড়া তারা যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন স্টুডেন্ট ভিসায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে ওই সময় তারা কীভাবে এতো ব্যয়বহুল একটি বাড়ির মূল্য পুরোটা নগদ পরিশোধ করে কিনতে পারলেন। এতো টাকা তারা কোথায় পেলেন?

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, কেবল পড়াশোনা বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশ থেকে বিদেশে তথবিল স্থানান্তরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমতি দেয়। কিন্তু বিদেশে বিনিয়োগের জন্য কখনো অনুমতি পাওয়া যায় না। তাই প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে, বাংলাদেশে বাস করে কীভাবে ওই দুজন এইচপিএলের লাখ লাখ ডলারের ফি এবং অন্যান্য ব্যয় মিটিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তারা কীভাবে দেশের অর্থপাচার আইন লঙ্ঘন না করেও বিদেশের ব্যাংকে হিসাব সচল রাখেন?

 

এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের জন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু যেসব উদ্দেশ্যে অনুমতি দেওয়া হয় ‘বিদেশি পাসপোর্ট কেনা সেরকম কোনো উদ্দেশ্য নয়, যার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের অভ্যন্তরে অর্জিত অর্থ দিয়ে বিদেশি পাসপোর্টের জন্য মূল্য পরিশোধ ‘সম্পূর্ণ অবৈধ’।

তিনি বলেন, অর্থ স্থানান্তরে আইনি বিধিনিষেধের কারণে যুক্তিসঙ্গতভাবেই এতো বড় অঙ্কের টাকা বিদেশে স্থানান্তর সম্ভব নয়।

এসব ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সালমান এফ রহমান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!