DMCA.com Protection Status
title="৭

যাচাই শুরু না হতেই দুদক চেয়ারম্যান বললেন, আজিজের দোষ নেই

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যাচাই শুরু না হতেই দুই ভাইয়ের ‘মিথ্যা তথ্যে ই-পাসপোর্ট ও এনআইডি জালিয়াতির বিষয়ে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দোষ নেই দাবি করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, একজন আইনজীবীর দেওয়া একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, তার (আজিজ আহমেদ) দুই ভাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে ই-পাসপোর্ট নিয়েছেন। এটা আজিজের দোষ না, তার দুই ভাই এবং পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্টের লোক জড়িত।

আজ সোমবার (১০ জুন) দুদকের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র‌্যাক) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মঈন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দ্বিতীয় অভিযোগ হল, (তারা) ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়েছেন। এগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুই ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়ে দিয়েছি।

সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ‘দুর্নীতির’ বিষয়ে অনুসন্ধান চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান সম্প্রতি দুদকে আবেদন করেছেন। এতে লেখা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। এতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।

জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করেছে।” এ আইনজীবী বলছেন, “এত বড় অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পরও দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি; এটি দুদকের নিষ্ক্রিয়তা।

আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান সাংবাদিকদের বলেন, “পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তিনি (আজিজ) ভুয়া তথ্য দিয়ে ই পাসপোর্ট করতে সহায়তা করেছেন এবং জাল এনআইডি তৈরি করতে প্রভাব বিস্তার করেছেন। “আমরা বলছি না যে উনি দুর্নীতি করেছেন কী করেননি। বলেছি বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হউক আসলে ঘটনা কী। তখন সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।

২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের চিফ অব আর্মি স্টাফ ছিলেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। তার আগে ২০১২ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির নেতৃত্ব দেন।

গত ২০ মে এক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়ে বলা হয়, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণভাবে ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন।

দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির ওই অভিযোগ ‘অসত্য’ বলে পরদিন দাবি করেন আজিজ আহমেদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান হিসেবে বা সেনাপ্রধান হিসেবে তিনি কোনো দুর্নীতি করেছেন- এমন প্রমাণ করতে পারলে ‘যে কোনো পরিণতি’ তিনি মেনে নেবেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!