ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, প্রতি বছর জুন মাসের ২০ তারিখ জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর জুন মাসের ২০ তারিখ বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের দু:সহ পরিস্থিতির প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতন উপলব্ধি বৃদ্ধির জন্য এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও আজ এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে।
তারেক রহমান বলেন, পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক। জাতিগত সহিংসতা ও রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতাই এর প্রধান কারণ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই দিবসটির প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন এবং বিশ্বব্যাপী নিজ দেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের মর্যাদা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি সক্রিয় সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছে। নিজ দেশ থেকে উচ্ছেদ হওয়া শরণার্থীরা মানুষ হিসেবে মানবাধিকার হরণের শিকার হয়ে ভিন্ন দেশে আশ্রয় ও ক্ষুধা নিবৃত্তির সন্ধান করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদেরও সেই করুণ অভিজ্ঞতা আজও আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থান করছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তারা নিপীড়নের শিকার হয়ে নিজ দেশের আবাস ছেড়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী (ভিক্টিম) হচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সমস্যাকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের সাধ্যমতো প্রচেষ্টা নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি মানবতার একটি বিরল দৃষ্টান্ত। তবে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে ডামি আওয়ামী সরকারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী।
তারেক রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা, তাদের নিয়ে বাংলাদেশ কী কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে, মিয়ানমার কীভাবে তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে, প্রত্যাবাসনের নামে মিয়ানমার কীভাবে বারবার কথার বরখেলাপ করছে ইত্যাদি বিষয়াদি নতজানু সরকার বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারেনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সকল শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনসহ তাদের প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।