ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় চালানো নৃশংসতার সঙ্গে চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের সংশ্লিষ্টতার যে অভিযোগ প্রকাশ করেছিল তা মানহানিকর বলে উল্লেখ করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এসব অভিযোগ সরিয়ে নিতে বলেছে। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুঈনুদ্দীনের মামলা চলবে বলে রায় দিয়েছে। বৃহহস্পতিবার (২০জুন) সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মতভাবে এ রায় দেয়।
লর্ড রিডের দেওয়া রায়ে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের আবেদন সর্বসম্মতভাবে গ্রহন করেছে। একই সঙ্গে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাকে মামলা চালানোর অনুমতি দেওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেছে।
এর আগে নিম্ন আদালত মুঈনুদ্দীনের দাবির বিষয়ে যে রায় দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট তা একেবারেই উল্টে দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এ রায়কে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা বাংলাদেশের জন্য বিব্রতকর বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ে।
যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট রায়ের বিবরণে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সম্পর্কে বলেছে, এটি একটি দেশীয় (ডমেস্টিক) আদালত। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এটি গঠন করা হয়। এই আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য-প্রমাণের (এভিডেন্স) কঠোর বিধান প্রয়োগ করা হয়নি এবং এ ট্রাইবুনালকে পত্রিকার প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিশন ফর কাউন্টারিং এক্সট্রেমিজম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের একজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুঈনুদ্দীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদনটি সরিয়ে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি লেখেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে তা আদালতে গড়ায়। নিম্ন আদালতে প্রতিকার না পেয়ে মুঈনুদ্দীন উচ্চ আদালতে যান। সেখানেই বৃহস্পতিবার এমন রায় এলো।