DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আত্মগোপনে মতিউর, মাকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন ইফাত

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকার ছাগল কেনার বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরই ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়। এর পর একে একে বেরিয়ে ইফাতের বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দুর্নীতি, অনিয়ম ও কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচারের মতো বহু কাহিনি।

এর মধ্যে মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী তাঁর দুই সন্তান নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। এর মধ্যে মুশফিকুর রহমান ইফাতও রয়েছেন। আর গা-ঢাকা দিয়েছেন মতিউর ও তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি।

মতিউরের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, দুই ছেলে ইফাত ও ইরফানকে নিয়ে গত বুধবার মধ্যরাতে মালয়েশিয়া গেছেন শিবলী। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে রওনা হন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মতিউরের এক আত্মীয় বলেন, মতিউরের প্রথম স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ছাগলকাণ্ডের সুযোগ কাজে লাগান। তিনি স্বামীকে বোঝাতে সক্ষম হন, ইফাতের পরিচয় অস্বীকার করলেই আপাতত ঝামেলা থেকে রক্ষা পাবেন মতিউর। কানিজের কথাতেই গণমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, ইফাত তাঁর সন্তান নয়।

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডে ৪১/২ নম্বর ইম্পেরিয়াল সুলতানা ভবনে গিয়ে জানা গেছে, ইফাতের পরিবার সেখানে নেই। অন্যদিকে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৭/এ নম্বর রোডের ৩৮৪ নম্বর বাড়িতে গিয়েও মতিউর ও তাঁর প্রথম স্ত্রী লাকির সন্ধান মেলেনি। বাসার নিরাপত্তাকর্মীরা বলছেন, দুদিন ধরে এ বাসায় কেউ নেই। এ সময় মোবাইল ফোনে মতিউরকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে, মতিউরের প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লাকিও সেখানকার বাসায় নেই বলে জানান ওই বাসার নিরাপত্তাকর্মীরা। বাসার প্রধান ফটকে তালা ঝুলছিল। আশপাশের বাসিন্দার জানান, তিন দিন ধরে তিনি এলাকায় আসেননি। মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অনুসন্ধানে মতিউর রহমানের অঢেল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। নরসিংদী, ময়মনসিংহের ত্রিশাল ছাড়াও গাজীপুরের পূবাইলে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো, জমিসহ নামে-বেনামে রয়েছে অনেক জমি ও স্থাপনা। ঢাকায়ও আছে একাধিক প্লট ও দামি গাড়ি। স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন মতিউর। ঢাকায় তাঁর স্ত্রী-সন্তান ও ঘনিষ্ঠদের নামে দুই ডজন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্প্রতি জমা পড়া একটি অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!