DMCA.com Protection Status
title="৭

খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল, দোয়া চাইলেন মির্জা ফখরুল

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান। এর আগে আজ শনিবার (২২ জুন) বেলা দেড়টার চেয়ারপারসনকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল।

বর্তমানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক-নার্স ছাড়া অন্য কারও প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আজকে দেড়টায় ম্যাডামকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এখন তিনি সিসিইউতে আছেন। তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং ডাক্তাররা এখন ভেতরে কাউকে যেতে দিচ্ছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি তার চিকিৎসার সঙ্গে নিয়োজিত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝলাম, তাতে মনে হয়েছে, তার অবস্থা বেশ ক্রিটিকাল (জটিল)। তারা আজকে সন্ধ্যায় সম্ভবত আবার বোর্ড মিটিং করবেন এবং এই বোর্ড মিটিং করে তারা পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।’

এ সময় মির্জা ফখরুল জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ম্যাডামের সুস্থতার জন্য দোয়া করুন, আল্লাহতালার কাছে সেই দোয়া চাই।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব এসেছিলেন… মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ম্যাডাম সিসিইউতে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। চিকিৎসা চলছে। নতুন করে কিছু বলার মতো নেই।’

তিনি বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সাড়ে ৩টার দিকে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। দ্রুতই সিসিইউতে তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা ‍শুরু করে মেডিকেল বোর্ড।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন।

মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় লন্ডন থেকে ডা. জোবায়েদা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকেন জানিয়ে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ম্যাডামের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে তাৎক্ষণিক যা করণীয় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’

সর্বশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন। ওই সময় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুইদিন চিকিৎসা দেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!